বিএফডিসিতে ডেঙ্গু আতঙ্ক
সম্প্রতি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন নায়ক আলমগীর। এফডিসিজুরে এখন ডেঙ্গু আতঙ্ক। সুইমিং পুল, ঝরনা স্পট, প্রশাসনিক ভবনের পেছনসহ এফডিসিজুরে মাশার উপদ্রব। যেকোনো সময় যে কেউ আক্রান্ত হতে পারে বলে দাবি করছে চলচ্চিত্র সংশ্রিষ্টরা।
চলচ্চিত্র সহকারী পরিচালক সমিতি সভাপতি এসআই ফারুক বলেন, ‘আমাদের অফিস কক্ষটি এফডিসির সুইমিং পুলের পাশে। এখানে প্রচুর মশা থাকে সারা বছরজরই। শুধু সুইমিং পুল নয়, পুরো এফডিসিতেই আসলে মশা অনেক বেশি। সাধারণভাবে পরিষ্কার করা হলেও মশা মারার কোনো উদ্যোগ নেই এখানে। যে কারণে আমাদের ডেঙ্গু মাশার ভয়ে সময় কাটছে।’
প্রোডাকশন ম্যানেজার জাহিদ হোসেন বলেন,’ঝারনা স্পট বা তার আশপাশে অনেক বেশি মশা। আমরা নামাজ পড়ার সময় অনেক ভয়ে থাকি। কারণ নামাজ পড়ার স্থানটি ঝরনা স্পটের পাশে। শুধু ঝরনা স্পট নয়, সাউন্ড ভবনের আশপাশেও অনেক বেশি মশা, দিনে বা রাতে সব সময় এখানে মশা থাকে।’
প্রযোজক মুরশেদ খান হিমেল বলেন, ‘শুধু সুইমিংপুল বা ঝরনা স্পট নয়, পুরো এফডিসিতেই মশা। প্রশাসনিক ভবনের পেছন ও আশপাশে মশা। এখন এফডিসিতে আসতেই ভয় করে। আমি মনে করি বিষয়টি এফডিসি প্রশাসনের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
বিষয়টি নিয়ে বিএফডিসির গণসংযোগ কর্মকর্তা হিমাদ্রী বড়ুয়া এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা আমাদের সাধ্যমতো পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করি। প্রতিদিনই পরিষ্কার করা হয় এফডিসির বিভিন্ন জায়গা। তবে শুধু আমরা একা কাজটি করতে পারব না। আমি মনে করি সবাই যদি নিজের আশপাশটা পরিষ্কার রাখে, তবেই পুরো এফডিসিকে মশামুক্ত করা সম্ভব।’
মশা মারার আলাদা কোনো ব্যবস্থা নেই জানিয়ে হিমাদ্রী বলেন, ‘আমাদের মশা মারার আলাদা কোনো ব্যবস্থা নেই। সিটি কপোরেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে রুটিন অনুযায়ী মশা মারার ওষুধ দেবে। ওয়েবসাইডে দেখতে বলেছে কবে কোন এলাকায় ওষুধ দেবে। সেখানে আমরা কোনো কিছু পাচ্ছি না। যে কারণে তাদের সাথে আমরা যোগাযোগ করতে পারছি না।’
সমিতিগুলোকে উদ্যোগ নেওয়ার দাবি করে হিমাদ্রী বলেন, ‘এফডিসিতে অনেক সমিতির রয়েছে। সবাই মিলে উদ্যোগ নিলে পুরু এফডিসিকে একদিনেই মশামুক্ত করা যায়। গতকাল এফডিসির সামনে মানববন্ধন করেছেন শিল্পীরা। ডেঙ্গুর বিষয়ে সবাইকে সচেতন করতে চেয়েছেন তারা। আমি আশা করব তারা নিজেরাও সচেতন হবেন। সবাই মিলে একদিন এফডিসি পরিষ্কার করবেন। এতে নিজের আশপাশ পরিষ্কার করার উৎসাহ পাবে সবাই।