তবে কি বাংলা ভুলে গেছেন রানু!
আলোচনা যেন পিছুই ছাড়ছে না ‘তেরি মেরি কাহানি’খ্যাত রানু মণ্ডলের। তিনি সর্বপ্রথম আলোচনায় আসেন কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া ‘এক পেয়ার কা নাগমা’ গানটি গেয়ে। এরপর থেকে শিরোনাম আর রানু যেন ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছেন। এবার অবশ্য গান নয়, রানু আলোচনায় এলেন অন্য কারণে।
সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮ এক প্রতিবেদনে জানাচ্ছে, মুম্বাইতে তুমুল ব্যস্ততা শেষে রানু সম্প্রতি গিয়েছিলেন তাঁর স্কুলে। বিশেষ সম্মাননা তুলে দিতে রানুকে আমন্ত্রণ জানায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেখানে তাঁকে নিজের অনুভূতি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়। এর উত্তর বেশ সাবলীলভাবে ইংরেজি ও হিন্দিতে দিয়েছেন রানু।
হাসিমুখে, আত্মবিশ্বাস নিয়েই কথা বলছিলেন ‘কলকাতার লতাজি’ খ্যাত এই গায়িকা। যদিও তাঁর এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার হওয়ার পর ভক্তদের বেশির ভাগই নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। ভিডিওটিতে এরই মধ্যে ৩৬০০টি লাইক পড়েছে। এ ছাড়া এতে মন্তব্য জমা পড়েছে ৮০০টিরও বেশি। রানুর হঠাৎ এই পরিবর্তনকে বেশ আক্রমণাত্মক ভাষায় সমালোচনা করে নেটিজেনরা।
রানু মণ্ডল কী বলেছিলেন, চলুন তা দেখে নেওয়া যাক ভিডিওতে :
কলকাতার রানাঘাট রেলস্টেশনে গান গেয়ে দিন চলে যেত রানু মণ্ডলের। জনসাধারণের দেওয়া অর্থে কোনোমতে খেয়েপরে বেঁচে ছিলেন তিনি। কিন্তু অসাধারণ গায়কিই তাঁকে খ্যাতি এনে দেয়।
কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকরের ‘এক পেয়ার কা নাগমা’ রানুর কণ্ঠে শুনে নতুন এক স্বাদ পান শ্রোতারা। এমনকি ‘কলকাতার লতাজি’ নামেও পরিচিতি পান তিনি। এরপর ডাক আসে বিখ্যাত সংগীত পরিচালক ও গায়ক হিমেশ রেশমিয়ার কাছ থেকে। হিমেশের ‘হ্যাপি হার্ডি অ্যান্ড হীর’ ছবিতে রানুর গাওয়া ‘তেরি মেরি কাহানি’ গানটি আবারো সুরের মূর্ছনায় আবিষ্ট করে সংগীতপ্রেমিদের।