যা পড়বেন, তার সবটুকু বিশ্বাস করবেন না : সঞ্জয়কন্যা ত্রিশালা
এমনিতেই ইতালীয় প্রেমিকের আকস্মিক মৃত্যুতে সময়টা ভালো যাচ্ছে না বিখ্যাত অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের মেয়ে ত্রিশালা দত্তের। প্রয়াত প্রেমিকের নাম প্রকাশ্যে না আনলেও তাঁকে কতটা ভালোবাসতেন, অকপটেই তা সবাইকে জানিয়েছেন ত্রিশালা। এরপরেও নিজেকে নিয়ে বিভিন্ন গুঞ্জনে বিরক্ত হয়ে এবার চটলেন সঞ্জয় দত্তের মেয়ে।
সংবাদমাধ্যম জি নিউজের প্রতিবেদন জানাচ্ছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে অনুসারীদের সঙ্গে এক সরাসরি প্রশ্নোত্তর পর্বে গুঞ্জন বিষয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন ত্রিশালা। সেখানে ত্রিশালা লেখেন, ‘গুঞ্জন সত্য নয়।’
একজন অনুসারী তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘শোনা যাচ্ছে আপনার বাবার সঙ্গে আপনার সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না, এর সত্যতা নিশ্চিত করুন দয়া করে।’ উত্তরে ত্রিশালা বলেন, ‘পত্রিকায় ছাপা হওয়া সবকিছু এবং যেকোনো কিছু দয়া করে বিশ্বাস করবেন না। আমি জানি না এসব সংবাদ কোথা থেকে এসেছে, কিন্তু এটি মোটেই সত্যি নয়।’
ত্রিশালার সঙ্গে তাঁর বাবার সম্পর্কের উত্থান-পতন দেখা যায়। সঞ্জয়ের বায়োপিকে তাঁর প্রথম স্ত্রী রিচা শর্মা বা মেয়ে ত্রিশালার প্রসঙ্গ কেন আসেনি, তা নিয়েও গুঞ্জন রয়েছে।
এর আগে ইনস্টাগ্রামে এক প্রশ্নোত্তর পর্বে একজন তারকার সন্তান হওয়ার অনুভূতি সম্পর্কে ত্রিশালার কাছে জানতে চান এক নেটিজেন। উত্তরে ত্রিশালা লেখেন, ‘সত্যিই এটি আমার কাছে স্বাভাবিক মনে হয়। তিনি (সঞ্জয়) অন্যান্য বাবাদের মতোই। আমি যখন তাঁর সঙ্গে থাকি, মনে হয় আমি আমার বাবার সঙ্গে আছি। আপনার বাবার সঙ্গে যখন আপনি থাকেন, সেই মুহূর্তের সঙ্গে এর আসলেই কোনো পার্থক্য নেই। আমি এটি বর্ণনা করতে পারব না, কিন্তু এটি সাধারণ।’
নিউইয়র্কে জন্ম নেওয়া ত্রিশালা সঞ্জয়ের বড় মেয়ে। তাঁর মা রিচা শর্মা ১৯৮৭ সালে সঞ্জয়কে বিয়ের আগে নামকরা অভিনেত্রী ছিলেন। ত্রিশালা ১৯৮৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। বিয়ের দুই বছরের মাথায় মস্তিষ্কের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন রিচা এবং চিকিৎসার জন্য নিউইয়র্কে যান। সেখানেই ১৯৯৬ সালে মারা যান তিনি।
ত্রিশালা সম্প্রতি তাঁর প্রেমিকের মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশ করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে তিনি লেখেন, ‘আমার হৃদয় ভেঙে গেছে। আমাকে ভালোবাসার জন্য, আগলে রাখার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। আমার জীবনকে তুমিই সবচেয়ে আনন্দমুখর করেছিলে। তোমার দেখা পেয়ে, তোমার হতে পেরে এই পৃথিবীর সবচেয়ে সৌভাগ্যবান মেয়ে আমি। আমার ভেতর তুমি চিরভাস্বর হয়ে থাকবে। তোমাকে ভালোবাসি। খুব মনে পড়বে তোমাকে, যত দিন না ফের আমাদের দেখা হচ্ছে। তোমার চিরদিনের, বেলা মিয়া।’