সন্তানের বাবা নয়, মেয়ের অভিভাবক হিসেবে অন্য কাউকে বেছে নিলেন মা
বলিউড অভিনেতা ইমরান খানের সঙ্গে অবন্তিকা মালিকের আট বছরের সংসার দেখা দিয়েছে কলহ। তাঁদের মধ্যে বিচ্ছেদের কথাও শোনা যাচ্ছে। এরই মধ্যে মেয়ে ইমারার নতুন অভিভাবক নির্ধারণ করেছেন অবন্তিকা।
সংবাদমাধ্যম জি নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মেয়ে ইমারার প্রতি নিজের মায়ের অবদানের কথা উল্লেখ করেন অবন্তিকা। মা বন্দনা মল্লিক যে তাঁর (অবন্তিকা) মেয়ের জন্য ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন, সে কথাই লেখেন তিনি।
অবন্তিকার মতে, ইমারার জন্য তাঁর নানী একইসঙ্গে অভিভাবক, শিক্ষক, বন্ধু ও দুষ্টুমির সঙ্গী। বোঝাই যাচ্ছে যে এই পোস্টটি নিজের মায়ের উদ্দেশেই করেন অবন্তিকা।
অবন্তিকা বা ইমরান কেউই অবশ্য এখনো বিচ্ছেদের ব্যাপারে মুখ খোলেননি। তবে এরই মধ্যে এই বিষয়ে কথা বলেছেন বন্দনা মালিক।
বিনোদনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম পিংকভিলার বরাত দিয়ে জি নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়, বলিউডে শেষবারের মতো ‘কাট্টি বাট্টি’ ছবিতে দেখা যায়। ছবিটি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। এরপর থেকেই নিজেকে অনেকটাই গুটিয়ে নেন ইমরান। বিগত চার বছর কোনো ছবিতে তো দূরের কথা, অভিনয় জগতেই দেখা যায়নি তাঁকে।
পরিচালনায় আগ্রহ দেখালেও সেখানেও ব্যর্থ হন। মাঝেমধ্যে নাটকে অভিনয় করে এত দিন কোনোমতে সংসার চলেছে তাঁর।
জানা যায়, ইমরানের তেমন উপার্জন না থাকায় অবন্তিকার পরিবার থেকে তাঁদের সংসার চালাতে সাহায্য করা হয়েছে এত দিন। আর আয় সম্পর্কিত বিষয়াদি নিয়েই কলহ বাড়তে থাকে ইমরান-অবন্তিকার। সম্পর্ক উন্নয়নে চেষ্টা চালিয়ে গেলেও তাতে লাভ হয়নি। ইমরান-অবন্তিকার দাম্পত্য কলহের প্রভাব পড়ে তাঁদের সন্তান ইমারার মধ্যেও। ফলে ইমারাকে নিয়েই ইমরানের বাড়ি ছাড়েন অবন্তিকা।
জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত উপার্জন না থাকায় ইমরানের জমানো সব অর্থ শেষ হয়ে যায়। ফলে মেজাজ বিক্ষিপ্ত থাকত তাঁর, রেগে যেতেন ছোট ছোট কথায়ও। এভাবেই সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে দিন দিন। তবে এখন পর্যন্ত ইমরান এই ব্যাপারে প্রকাশ্যে কিছু বলেননি।
অন্যদিকে জানা গেছে, ইমরানের কাছ থেকে আলাদা হওয়া অবন্তিকা তাঁর ভাইয়ের রেস্তোরাঁ ব্যবসায় যোগ দিতে যাচ্ছেন।
২০০৮ সালে রোমান্টিক কমেডি ধাঁচের ছবি ‘জানে তু ইয়া জানে না’- এর মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় ইমরান খানের। বাণিজ্যিকভাবে সফল ছবিটি সমালোচকদেরও ব্যাপক প্রশংসা পায়। এমনকি ওই ছবির জন্য ফিল্মফেয়ারে শ্রেষ্ঠ নবাগত অভিনেতার পুরস্কার পান। কিন্তু তাঁর অভিনীত পরবর্তী দুটি ছবি বক্স অফিসে ঝড় তুলতে ব্যর্থ হয়। এরপর ব্যবসাসফল কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করলেও, পরবর্তী সময়ে আবারও ব্যর্থতার বৃত্তে আটকা পড়েন এই অভিনেতা।