কথা বলার মানুষ কমে গেছে : ফাহমিদা নবী
‘আইয়ুব বাচ্চুর আসলে মৃত্যু হয়নি, তিনি বেঁচে থাকবেন আজীবন,’ কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু প্রসঙ্গে কথাগুলো বললেন আরেক সংগীতশিল্পী ফাহমিদা নবী।
গত কয়েক বছরে অনেক প্রিয় শিল্পীকে হারিয়ে ফাহমিদা নবী উপলব্ধি করেছেন, তাঁর সঙ্গে কথা বলার মানুষ এখন তেমন নেই।
বুকে কষ্ট চেপে এই শিল্পী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘কার সঙ্গে কথা বলব? কে আছে এখন? অল্প কিছুদিনের ব্যবধানে লাকী আখন্দ, আইয়ুব বাচ্চু, সুবীর নন্দী আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। আমাদের সংগীতশিল্পী-পরিবার দিন দিন ভেঙে যাচ্ছে। ছাদ ছাড়া ঘুমানো যায় না। শেকড় নড়বড় হলে গাছ বাঁচতে পারে না। আমাদের অবস্থা হয়েছে তাই।’
এখনকার প্রজন্মের শিল্পীদের নিয়ে তেমন সন্তুষ্ট নন ফাহমিদা নবী। এ প্রসঙ্গে এই শিল্পী বলেন, ‘এখন যে কেউ গান গাইছেন। এঁদের মধ্যে অনেকে স্পষ্ট করে কথাও বলতে পারেন না। শিল্পীর প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান রেখে বলছি, এখন যে গুটিকয়েক শিল্পী বেঁচে আছেন, তাঁদের কদর করতে জানতে হবে। তাঁদের যথাযথ সম্মান করতে হবে।’
যেসব শিল্পী এখন অসুস্থ বা মানসিক কষ্টে আছেন, তাঁদের নিয়ে ভাবার তাগিদ দিয়েছেন ফাহমিদা নবী। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, মানুষের অবসাদ থেকে অসুখ হয়। আর যেন কোনো শিল্পীকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মরতে না হয়। সব শিল্পীকে সময় থাকতেই বাঁচাতে হবে।’
১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আইয়ুব বাচ্চু। ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর মারা যান এই কিংবদন্তি।
দীর্ঘ কয়েক দশকে অসংখ্য কালজয়ী, জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন আইয়ুব বাচ্চু। ‘চলো বদলে যাই’, ‘হাসতে দেখো’, ‘এখন অনেক রাত’, ‘রুপালি গিটার’, ‘মেয়ে’, ‘আমি কষ্ট পেতে ভালোবাসি’, ‘সুখের এ পৃথিবী’, ‘ফেরারি মন’, ‘উড়াল দেব আকাশে’, ‘বাংলাদেশ’, ‘আমি বারো মাস তোমায় ভালোবাসি’, ‘এক আকাশের তারা’, ‘সেই তারা ভরা রাতে’, ‘কবিতা’, ‘আমি তো প্রেমে পড়িনি’, ‘তিন পুরুষ’, ‘যেও না চলে বন্ধু’, ‘বেলা শেষে ফিরে এসে’, ‘আমি তো প্রেমে পড়িনি’, ‘তিন পুরুষ’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা তিনি।