ভালো লাগছে মৌসুমীর, উপভোগ করছেন মিশা
আর কিছুদিন পরেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২০১৯-২১ মেয়াদের বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরগরম বিএফডিসি প্রাঙ্গণ। শিল্পী ও কলাকুশলীদের আনাগোনা বেড়েছে। বিকেল থেকে শুরু হয় মিছিল। চলে টেবিল-বৈঠকও।
এফডিসি প্রাঙ্গণে উৎসবের আমেজ দেখে খুব খুশি জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মৌসুমী, যিনি লড়ছেন সভাপতি পদে। এনটিভি অনলাইনকে বললেন, ‘আমার কাছে উৎসবের আমেজ মনে হচ্ছে। বহুদিন পর শিল্পীদের সঙ্গে এভাবে সময় কাটাতে পেরে অনেক ভালো লাগছে। কাজের কারণে অনেকের সঙ্গে দেখা কম হতো। আবার অনেকের সঙ্গে দেখাই হতো না। এখন অনেককেই দেখছি।’
চিত্রনায়িকা মৌসুমীর সঙ্গে একই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন খলনায়ক মিশা সওদাগর। তিনি একই অনুভূতি ব্যক্ত করলেন। বললেন, ‘সমিতির অনেক কাজেই এমন পরিবেশ এফডিসিতে হয়ে থাকে। তবে নির্বাচনের আমেজটা একটু অন্যরকম। আমার ভালো লাগছে। বিশেষ করে আড্ডাটা উপভোগ করছি।’
সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন অভিনেতা জায়েদ খান। তিনি বলেন, ‘ডিপজল ভাইয়ের মতো সিনিয়র শিল্পীরা সাধারণত বিশেষ কাজ ছাড়া এফডিসিতে আসেন না। তবে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এমন অনেকেই আসছেন। আমরা মতবিনিময় করছি। আগামীতে সিদ্ধান্ত নিতে গেলে এই আলোচনাগুলো কাজে দেবে। সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়ক হবে।’
২০১৭ সালের ৫ মে জয়ী হওয়ার পর ১২ মে শপথ গ্রহণ করে মিশা-জায়েদের কমিটি। আগামী ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন।
গত ৫ অক্টোবর ২০১৯-২১ মেয়াদের শিল্পী সমিতির আসন্ন নির্বাচনের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়। তালিকা থেকে জানা যায়, সভাপতি পদে লড়াই করছেন মৌসুমী ও মিশা সওদাগর। সহসভাপতির দুটি পদে রুবেল ছাড়াও প্রার্থী হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল ও নানা শাহ। সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রতিদ্বন্দ্বী ইলিয়াস কোবরা। সহসাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন আরমান ও সাংকো পাঞ্জা। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অভিনেতা সুব্রতর বিপরীতে কোনো প্রার্থী নেই। আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক পদে লড়ছেন নূর মোহাম্মদ খালেদ আহমেদ ও চিত্রনায়ক ইমন। দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক পদে একাই রয়েছেন জ্যাকি আলমগীর। সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে লড়বেন জাকির হোসেন ও ডন। কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা ফরহাদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। অর্থাৎ সুব্রত, জ্যাকি, আলমগীর ও ফরহাদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এবারের নির্বাচনে কার্যকরী পরিষদ সদস্যের ১১টি পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ১৪ জন। তাঁরা হলেন—অঞ্জনা সুলতানা, রোজিনা, অরুণা বিশ্বাস, আলীরাজ, আফজাল শরীফ, বাপ্পারাজ, রঞ্জিতা, আসিফ ইকবাল, আলেকজান্ডার বো, জেসমিন, জয় চৌধুরী, নাসরিন, মারুফ আকিব ও শামীম খান (চিকন আলী)।