বিশ্ব নারী দিবস
‘আত্মবিশ্বাস নারীকে এগিয়ে নিয়ে যাবে’
আজ বিশ্ব নারী দিবস। দিবসটিকে কেন্দ্র করে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০২১তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. তাওহীদা রহমান ইরিন। বর্তমানে তিনি শিওর সেল মেডিকেলে পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : নারী দিবস যে পৃথিবীজুড়ে পালিত হয়ে আসছে, সেটি নিয়ে জানতে চাইব?
উত্তর : বিভিন্ন আর্টিক্যালে বলা থাকে, নারী তুমি এগিয়ে যাও। এর সূচনা হয়েছিল অনেক আগেই। ১৯০৯ সালে হয়েছিল। আর তখন থেকে চলে আসছে এই ধারা। আর প্রতি বছরই কিন্তু একটি একটি করে স্লোগান থাকে। একটি প্রতিপাদ্য থাকে।
প্রশ্ন : এবারের নিশ্চয় একটি প্রতিপাদ্য রয়েছে। সেটি কী?
উত্তর : প্রেস ফর প্রোগ্রেস। অর্থাৎ ‘সময় এখন নারীর : উন্নয়নে তারা বদলে যাচ্ছে গ্রাম শহরের কর্মজীবন ধারা’।
প্রশ্ন : এটি বলতে এখানে কী বোঝানো হচ্ছে?
উত্তর : আমরা নারীরা মা, বোন , সন্তান যাই হই না কেন, গৃহিণী যাই হই না কেন, আমরা আমাদের বর্তমান যে অবস্থায় রয়েছি, নিজেকে এগিয়ে নিয়ে আসব, একটু সামনে। একটু অগ্রসর হব, সামনের জীবনে। এই অঙ্গীকার নেব আজ।
প্রশ্ন : নারীর ক্ষেত্রে সৌন্দর্য বিষয়টি ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। এই সৌন্দর্য কী শুধুই বাহ্যিকতায় না কি ভেতরের সৌন্দর্য মুখ্য?
উত্তর : আমি যদিও একজন ডাক্তার তবে আমার কাছে প্রথমেই মনে হয় সৃষ্টিকর্তর প্রতি সৌন্দর্য। বিউটিফুল ইউর অলমাইটি। আপনি যদি আপনার সৃষ্টি কর্তার প্রতি বিশ্বস্ত থাকেন, মনোবল, আত্মবিশ্বাস, কর্মক্ষমতা বাড়বে। আর সেই সঙ্গে বাড়বে মনের সৌন্দর্য।
প্রশ্ন : সুন্দর বলতে আপনি কী বোঝাচ্ছেন?
উত্তর : ইনার বিউটির মধ্যে প্রথমেই আসে আত্মবিশ্বাস। কারণ আপনি নারী, যখন আপনি কোনো সীদ্ধান্ত নেবেন, সেখানে ভালো জাজমেন্ট হওয়া দরকার। আর আপনি তখনই সক্ষম হবেন, যখন আপনার আত্মবিশ্বাস থাকবে। এই আত্মবিশ্বাস নারীকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আর আত্মবিশ্বাস তখনই আসে যখন সবকিছুর মূলেই আসে, আমার সাউন্ড মাইন্ড বা শান্ত মন। একে আমরা সোলবডি মাইন্ড বলি। এখন মনের সৌন্দর্যের জন্য ধ্যান বা মেডিটেশন অনেক জরুরি। এরপর আমি যোগব্যায়াম করতে পারি। আপনি যা তাই আপনার জীবনযাত্রা, তাই আপনার সুস্থতা ও ত্বক।
প্রশ্ন : মানসিক স্বাস্থ্য ও শারীরিক স্বাস্থ্যকে ফিট রাখার জন্য কী করা যেতে পারে বলে আপনি মনে করেন ?
উত্তর : আজকে যেহেতু নারী দিবস, আমি প্রতিটি নারীকে শ্রদ্ধা করছি, তার প্রতিটি কাজকেই শ্রদ্ধা করছি। যিনি গৃহিণী তিনি কিন্তু পুরো একটি সংসারকে দেখে রাখছেন। পুরো পরিবারকে দেখে রাখছেন। তাঁর কাজ কিন্তু অনেকখানি। অনেক নারী রয়েছেন, হাউস ওয়াইফ, তিনি ভাবেন, আমি সংসারের জন্য কিছু করতে পারছি না। তিনি কিন্তু অনেক সময় দিচ্ছেন তাঁর পরিবারকে। তাঁদের জন্য কিন্তু একটি শান্তিপূর্ণ পরিবার হচ্ছে।
অনেক গৃহিণী রয়েছেন, তাঁরা ভাবছেন, আমরা কিছু সময় কাজ করব। কিন্তু ভেবে পাচ্ছেন না কখন কাজ করবেন, কখন পরিবারকে সময় দিবেন। তাঁদের জন্য কিন্তু এখন অনেক অপশন রয়েছে। এখন ডিজিটালাইড বিশ্ব। আমরা যদি একে ইতিবাচকভাবে নিই, তাহলে ভালো। একজন হয়তো খুব ভালো মেকআপ করতে পারেন বা খুব ভালো রান্না করতে পারেন। যিনি ভালো রাঁধতে পারেন তিনি ক্যাটারিং সার্ভিস করতে পারেন। অনলাইনে তার সুন্দর সুন্দর রেসিপিগুলো বন্ধু বান্ধব বা আমাদের সমাজে দিতে পারেন। যিনি ভালো লিখেন, তিনি কিন্তু ব্লগার হতে পারেন। এভাবে তিনি তাঁর সৃজনশীলতাকে বাড়াতে পারেন।