ইনহেলার ব্যবহারে কি রোজা ভাঙ্গে?
সাধারণত সিওপিডি ও ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমার রোগীদের শ্বাসকষ্টের জন্য ইনহেলার ব্যবহার করতে হয়। তবে অনেকে ভেঙ্গে যাওয়ার ভয়ে রোজার সময় ইনহেলার নিতে অনিহা প্রকাশ করেন। তবে ইনহেলার নিলে আসলেই কি রোজা ভাঙ্গে?
এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০৯৮তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক এ কে এম মোস্তফা হোসেন। বর্তমানে তিনি ইউনাইটেড হসপিটালের বক্ষব্যাধি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : রোজা রেখে ইনহেলার নেওয়া যাবে?
উত্তর : ইনহেলারতো দুই ধরনের। একটি হলো শ্বাসকষ্ট বাধাদানকারী, আরেকটি হলো উপশমকারী। একটি ইনহেলার ব্যবহার করলে শ্বাসনালীগুলো সংকুচিত হয়, তাতে মিউকাস জমা হয়। সেখানে পানি প্রবেশ করে, প্রদাহ হয়। প্রদাহ হয়ে সেখানে মিউকাস জমা হয়। পানি জমে, মিউকাস জমে, রেসপেরেটোরি ট্র্যাক্টকে বন্ধ করে দেয়। তখন একে প্রতিরোধ করার জন্য একটি ইনহেলার ব্যবহার করা হয়। একে বলা হয় প্রতিরোধক। এটি তার অসুখটাকে ধীরে ধীরে ভালো করে ফেলে। আর আরেকটি ইনহেলার দ্রুত তার শ্বাসকষ্ট নিরাময়ে ব্যবহার করা হয়। একে সালবিউটামল বলি।
এখন একজন ভদ্রলোক রোজা রাখলেন, তার শ্বাসকষ্ট হলো, শ্বাসনালী বন্ধ হয়ে গেল, সে যদি ইনহেলার ব্যবহার না করে তাহলেতো রোগী মারাই যাবেন। উনি যদি ইনহেলার ব্যবহার করেন, তাহলে শ্বাসকষ্ট লাঘব হবে। অক্সিজেন যাবে, রোগী বাঁচবে। এতে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। এই যে ওষুধটি যাচ্ছে, এটি পেটে যাচ্ছে না। খাবার হিসেবে গ্রহণ করা হচ্ছে না।
রোজা ভাঙ্গে কেন? আপনি যদি পানি পান করেন বা কোনো ফল খান বা খাবার খান, তাহলে রোজা ভাঙ্গে। এটাতো কোনো খাবার নয়। এটা কেবল শ্বাসনালীতে যাচ্ছে। আপনার পাকস্থলীতেতো এটি যাচ্ছে না। তাহলে আপনার রোজা ভাঙছে না।
অনেক বড় বড় বিজ্ঞ আলেমরা মতামত দিয়েছেন, লন্ডনে এটি নিয়ে কনফারেন্স হয়েছে, সেখানে বিশ্বের সব দেশ থেকে বিজ্ঞ আলেমরা এসেছেন। তারা মতামত দিয়েছেন, ইনহেলার যদি ব্যবহার করা হয় তাহলে রোজা ভাঙ্গবে না।