ব্রণের চিকিৎসা করণীয়
ব্রণ বেশ প্রচলিত সমস্যা। ব্রণের চিকিৎসা করণীয় বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩১৩৩তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক রেজা বিন জায়েদ। বর্তমানে তিনি স্কিন স্কয়ারের চর্মরোগ বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : ব্রণের চিকিৎসায় কী পরামর্শ দেন?
উত্তর : মধ্যম অবস্থাতেই যে সবসময় রোগী আসবে তা নয়। অনেকে ভয় পেয়ে আসে। অল্প থাকতে থাকতেই আসে। ভয় পেয়ে যারা আসে, তাদের জন্য আমি প্রথমটা বললাম, যদি অল্প হয়, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কিছু পরিচর্যা করতে হবে।
প্রশ্ন : এই পরিচর্যার মধ্যে আসলে কী পড়ে?
উত্তর : আসলে চিকিৎসায় যাওয়ার আগে পরিচর্যার কথাই আমি বলছি। আসলে কতগুলো কারণ রয়েছে ব্রণ হওয়ার। হরমোন ছাড়াও পারিপার্শ্বিক কিছু কারণ রয়েছে। সেটি হলো কসমেটিকস যত্রতত্র ব্যবহার। অন্যান্য অনেক কারণের ভেতরে সংক্রমণও রয়েছে। ব্রণের ব্যাক্টেরিয়া বলা হয়। এই ব্যক্টেরিয়ার সেখানে জন্ম হয়। এসব কারণ যখন হতে থাকে পরিচর্যা করলে অনেক সময় ঠিক হয়ে যায়। যত্রতত্র ব্যবহার করা উচিত হবে না। যেসব কসমেটিক্সে মুখে আরো তৈলাক্তভাব আসে, সেগুলো ব্যবহার করা যাবে না। সাবান থেকে অন্যান্য প্রসাধনী যেসব রয়েছে, সব ক্ষেত্রে এটি খেয়াল রাখতে হবে। কিছু কিছু সাবান রয়েছে ত্বক তৈলাক্ত করে। কিছু কিছু সাবান রয়েছে তৈলাক্ততা কমায়। সাধারণত হালকাভাবের সাবানগুলো নির্বাচন করা উচিত। এ রকম কিছু সাবানের গায়ে লেখা থাকে, এটি শুষ্ক ত্বকের জন্য, এটি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য। যেটাতে লেখা থাকে তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সেটি ব্যবহার করাই উচিত হবে। এক তরফা যদি বলি ফেসওয়াস এই ক্ষেত্রে আমরা পছন্দ করি না। কারণ, ফেস ওয়াস ওয়েল বেইজ বেশি থাকে। যাদের ব্রণ হওয়ার প্রবণতা থাকে পারত পক্ষে তাদের ফেসওয়াস এড়িয়ে যাওয়া উচিত। ইদানীংকালে ফেসওয়াসের জনপ্রিয়তা অনেক। তাই সাবধানতা।
প্রশ্ন : অনেকে ব্রণ গালিয়ে ফেলেন। ভাবেন যে আমি খুব বড় একটি কাজ করেছি। এ বিষয়ে আপনার পরামর্শ কী?
উত্তর : আসলে ব্রণের ওপর সাংঘাতিকভাবে মানসিক প্রভাব রয়েছে। বিশেষ করে বয়ঃসন্ধিতে। মুখের ওপর বড় একটি দানা। ভাবছে, না যেন কেমন দেখাচ্ছে। না যেন মানুষ কী বলবে? এ রকম মানসিক যন্ত্রণার ভেতর থাকে। হয়তো বাইরে কোথাও যাবে, এই জিনিসটি যেন না দেখা যায় সেটি সরিয়ে ফেলার জন্য চাপ দিয়ে বের করার চেষ্টা করে। এটা ভুল। কারণ, যখন চাপ দিয়ে বের করে কিছুক্ষণের জন্য সমান হয়ে যায় বটে, কিন্তু পরবর্তী কয়েকদিনের ভেতর এটি কালো দাগ হয়। এমনকি গর্ত হয়ে যেতে পারে। এমন ব্রণের দাগ রয়েছে, যেটি স্থায়ীভাবে থেকে যায়। এটা হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি নিয়েও অনেকে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকে।