'মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে ফিজিওথেরাপি' প্রতিপাদ্য নিয়ে পালিত হলো বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও গতকাল শনিবার  বাংলাদেশ ফিজিক্যাল থেরাপি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) উদ্যোগে  দেশব্যাপী  আলোচনা সভা, শোভাযাত্রা ফ্রি চিকিৎসাসহ সচেতনতামূলক নানা কর্মসূচি পালন করে।

আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস উপলক্ষে বিপিএর  উদ্যোগে ৮ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় রাজধানীতে কয়েক শতাধিক ফিজিওথেরাপি পেশাজীবী চিকিৎসক ও ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণে একটি শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। শোভাযাত্রাটি জাতীয় অর্থপেডিক ও ট্রমাটোলজি প্রতিষ্ঠান (নিটোর)  থেকে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নিটোরে ফিরে সংক্ষিপ্ত  সমাবেশের মাধ্যমে শেষ  হয়।

সমাবেশে বাংলাদেশ অর্থপেডিক সোসাইটির (BOS) সভাপতি ও জাতীয় অর্থপেডিক ও ট্রমাটোলজি প্রতিষ্ঠান (নিটোর)-এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবদুল গনি মোল্লাহ অর্থপেডিকসহ অন্যান্য শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি মানসিক সমস্যা উন্নয়নে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং নিটোর এ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার চাহিদা পূরণকল্পে ফিজিওথেরাপিস্টদের জন্য বেশ কয়েকটি পদের প্রস্তাবনা প্রদান করেন। এ ছাড়া ফিজিওথেরাপি জাতীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিওথেরাপি বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষকে কার্যকরী উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানান।

সমাবেশে বক্তারা জানান, বিশ্বে প্রায় ৫৬ কোটি মানসিক সমস্যায় ভুগছে (WHO 2017)। মানসিক সমস্যার প্রতিরোধ, প্রতিকার ও উন্নতিতে ফিজিওথেরাপির ভূমিকা অপরিহার্য (WCPT 2018) এবং বাত, ব্যথা, প্যারালাইসিসসহ নানাবিধ কারণে আক্রান্ত প্রায় দুই কোটি অক্ষম জনগোষ্ঠীকে মানসম্মত ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে সুস্থ, স্বাভাবিক ও কর্মক্ষম জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য জনস্বার্থে গৃহীত ফিজিওথেরাপি কলেজ, কাউন্সিল, প্রথম শ্রেণির পদসমূহের যথাযথ বাস্তবায়ন জরুরি। সমাবেশে বিপিএ সভাপতি ডা. দলিলুর রহমান বলেন,  ‘প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পদক্ষেপের অভাব ও কারো কারো বিরোধিতার কারণে কয়েক যুগেও দেশে ফিজিওথেরাপি কলেজ প্রতিষ্ঠা, কাউন্সিল গঠন ও পদমর্যাদাসহ কোনো পদ সৃষ্টি হয়নি।’ তিনি এ সময় আরো জানান, বছরের পর বছর সরকারের সব মহলে সব রকম চেষ্টা ও তদবির করে ব্যর্থ হয়ে তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর  হস্তক্ষেপ ও সরাসরি নির্দেশ কামনা করেন।