কিডনির পাথর কী, কীভাবে হয়?
কিডনির পাথর একটি প্রচলিত সমস্যা। কিডনির পাথর মূলত কী এবং এটি কীভাবে হয়, এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩২১৩তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. রুম্মানা বারী। বর্তমানে তিনি বিআরবি হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : কিডনির পাথর বলতে আমরা কী বুঝি?
উত্তর : কিডনির ইউরিনারি প্রক্রিয়া যেটি বলি, কিডনি থেকে শুরু করে একেবারে ইউরেথ্রা পর্যন্ত, এর যেকোনো জায়গায় যখন পাথর হয়, সেটাকে কিডনির পাথর বলা হয়। শুধু কিডনিতে নয়, সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটির যে কথা বললাম, ইউরিনারি পদ্ধতি, এর যেকোনো জায়গায় পাথর হলে আমরা বলি কিডনির পাথর।
পাথর জিনিসটির অনেক কম্পোজিশন (গঠন) রয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় ক্যালসিয়াম অক্সালেট পাথরটা বেশি হয়।
প্রশ্ন : এই পাথরের উৎপত্তি কোথায়? এটা কীভাবে হয়?
উত্তর : এটি এমন একটি জিনিস, যেটি মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে। এটা তৈরি হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। অনেক সময় দেখা যায় হাইপার ইউরেসেমিয়া বা হাইপার ক্যালসেমুরিয়া আমরা বলি, অর্থাৎ শরীরে অনেক সময় দেখা যায় ক্যালসিয়ামের পরিমাণটা অনেক বেড়ে গেল।
তখন কিন্তু এই পাথরটা হতে পারে। এর কিছু মেটাবলিক কারণ রয়েছে। ইডিওপ্যাথিক আমরা বলি। কারণ, অনেক সময় জানা যায় না।
অনেক সময় প্যারাথার্ড গ্রন্থির সমস্যার জন্য হতে পারে, ভিটামিন ডি বেশি যদি হয়ে যায়, তাহলে হতে পারে। এ রকম অনেক কারণ রয়েছে। যদি এনোম্যালি (জন্মগত ত্রুটি) থাকে, এর জন্য হতে পারে। ইনফেকশনজনিত কিছু কারণ রয়েছে, এর জন্য হতে পারে। যেগুলোকে আমরা বলি ইউরিয়া স্প্লিটিং অর্গানিজম। এ ধরনের অর্গানিজম কিন্তু পাথর তৈরি করে।
এ ছাড়া আরো কিছু কারণ রয়েছে। যেমন : যেখানে বেশি গরম সেখানকার লোকদের হতে পারে। আবার পানি কম পান করলে, প্রাণীজ প্রোটিন বেশি খেলে, সোডিয়াম বেশি খেলে, তাদের সমস্যা হতে পারে।