কিডনি ভালো রাখতে বছরে একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা জরুরি
অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ইত্যাদির কারণে সাধারণত দীর্ঘমেয়াদি কিডনির সমস্যা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন সংক্রমণ, জিনগত কারণ, পলিসিস্টিক কিডনি ডিজিস ইত্যাদি কারণে দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ প্রতিরোধে বছরে অন্তত একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা জরুরি—এমনটাই মতামত বিশেষজ্ঞদের। দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩২২০তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. রুম্মানা বারী। বর্তমানে তিনি বিআরবি হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ নিয়ে যখন রোগীরা যায়, তখন আপনারা কী করেন?
উত্তর : তার ডায়াবেটিস থাকলে, সেটি কী রকম পর্যায়ে রয়েছে, তার প্রোটিন কতখানি বেরিয়ে আসছে সেটি দেখি। এই অনুযায়ী আমাদের ব্যবস্থাপনা করতে হয়। সাধারণত দেখা যায় এর পর্যায় রয়েছে। রোগী যখন আমাদের কাছে আসে, প্রথম পর্যায়ে কিন্তু আসে না। দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগীর ক্ষেত্রে হয়তো পর্যায় ৩-এ আসে। নিয়মিতভাবে একজন লোকের ডায়াবেটিস রয়েছে বা উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, সে যদি বছরে একবার বা দুবার ফলোআপ করে, কোনো বিশেষজ্ঞের কাছে যান কিংবা একজন এমবিবিএস চিকিৎসকের কাছে যান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য, তাহলে কিন্তু রোগটা নির্ণয় হয়ে যায়।
প্রশ্ন : আর যাঁদের অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ ও অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস থাকে না, তাঁরা কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন?
উত্তর : কিডনি সচেতনতা দিবস উপলক্ষে আমরা জনসচেতনতা তৈরির জন্য কিছু কাজ করেছি। আমাদের দেশের মানুষের শিক্ষার হার কম। এ জন্য কিন্তু মানুষ সচেতন নয়। বছরে অন্তত একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে নেওয়া ভালো। এটি সরকারি পর্যায়েও হতে পারে। কারণ, রোগ নির্ণয় হয়ে গেলে একটি ব্যবস্থা নেওয়া যায়।