যক্ষ্মায় অনেকেই ভোগেন। যক্ষ্মা যখনই ধরা পড়বে, তখনই চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।  

যক্ষ্মার বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩২৪৩তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. এ কে এম তাইফুর রহমান। বর্তমানে তিনি হেলথ ম্যানেজম্যান্ট বিডি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : তাহলে চিকিৎসকের কাছে আপনি কখন যাওয়া উচিত বলে মনে করেন?

উত্তর : দুই সপ্তাহের বেশি কাশি এবং সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিকে ভালো না হওয়া, এ রকম হলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। আসলে বাচ্চাদের যখন কাশি হচ্ছে বা জ্বর হচ্ছে, চিকিৎসকের কাছে মা-বাবা নিয়ে যাচ্ছেন, ওষুধের দোকান থেকে ওষুধ কিনে খাওয়াচ্ছেন, হয়তো ভালো হচ্ছে না। আবার কয়েকদিন পরে যা তাই দেখা যাচ্ছে। যদি মা-বাবা এর সঙ্গে সঙ্গে খেয়াল করেন, বাচ্চার খাবারের প্রতি আগ্রহ কম, গত তিন মাসে ওজন কমে যাচ্ছে, পছন্দের কাজগুলো করছে না, তখন তাকে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।

বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যক্ষ্মার পরীক্ষা রয়েছে। এসব জায়গায় নিয়ে গেলে যক্ষ্মা নির্ণয়ের ব্যবস্থা করা হবে।

প্রশ্ন : কোনো নির্দিষ্ট বিষয় কি রয়েছে যে এই বয়সে শিশুদের বেশি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে?

উত্তর : শিশু যক্ষ্মা বলতে আসলে আমরা বুঝি এক থেকে ১৪ বছর বয়সের শিশুদের যে যক্ষ্মা, সেই যক্ষ্মা। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের যক্ষ্মাটা বেশি হয়।

তার আগে যদি এই রকম লক্ষণ দেখা যায়, তাহলে একেবারে দেরি করা উচিত হবে না।