নিউমোনিয়া : লক্ষণ, প্রতিকার ও প্রতিরোধ
বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস আজ। নিউমোনিয়া মানে হলো ফুসফুসে প্রদাহ। এটি জটিল ও বিপজ্জনক রোগ। এই রোগ বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায়। শিশু ও প্রবীণদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় তারা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়।
নিউমোনিয়ার লক্ষণ, প্রতিরোধ ও প্রতিকারের বিষয়ে কথা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেসিডেন্ট ডা. গুলজার হোসেন উজ্জ্বলের সঙ্গে। তিনি বলেন, নিউমোনিয়ার প্রধান দুটো লক্ষণ হলো জ্বর ও কাশি। এ সময় রোগীর শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। প্রবীণরা অনেক সময় অজ্ঞান হয়ে যায়।
এ ছাড়া নিউমোনিয়া হলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শ্বাসকষ্ট থেকে আরো জটিলতা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। রেসপিরেটরি ফেইলিউর হতে পারে, ফুসফুসে পানি জমতে পারে। সময়মতো চিকিৎসা না নিলে রোগীর মৃত্যুর আশঙ্কা বাড়ে।’
প্রতিকার
নিউমোনিয়া সন্দেহ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, নিউমোনিয়ার চিকিৎসা হয় মূলত অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে। এ জন্য আক্রান্ত রোগীর কাছ থেকে অন্যদের ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে। তাই এদের ক্ষেত্রেও বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।’
প্রতিরোধ
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাদের কম, তাদেরই নিউমোনিয়া বেশি হয় জানিয়ে ডা. গুলজার বলেন, ‘এ জন্য যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের বেলায় সাবধান থাকতে হবে। প্রতিরোধমূলক ভ্যাকসিন পাওয়া যায়। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এগুলো দিতে পারে। আর শীতের সময় খুব সাবধানে থাকতে হবে। কারণ, ঠান্ডা লেগে নিউমোনিয়া হতে পারে।’
যেসব রোগী দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকে, তারা অন্য রোগী ও সরঞ্জাম থেকে সংক্রমিত হয়ে নিউমোনিয়া বাধিয়ে ফেলতে পারে। এ ধরনের নিউমোনিয়াকে অ্যাকোয়ার্ড নিউমোনিয়া বলা হয় জানিয়ে ডা. গুলজার বলেন, এসব ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
প্রবীণ ব্যক্তি আর শিশুদের নিয়ে হাসপাতালে না যাওয়াই ভালো বলে পরামর্শ তাঁর।