রক্তনালি ব্লক হওয়ার কারণ
হার্টের রক্তনালির মতো সারা দেহের রক্তনালিতেই ব্লক হয়। রক্তনালি ব্লক হওয়ার কারণের বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩২৬০তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. সাকলায়েন রাসেল।
ডা. সাকলায়েন রাসেল বর্তমানে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের ভাসকুলার সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : এর কারণ কী?
উত্তর : হার্টে যে কারণে ব্লক হয়, সারা দেহে একই কারণে ব্লক হয়ে থাকে। যিনি ব্যায়াম করেন না, কায়িক পরিশ্রম করেন না, তার শরীরে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল জমে যাচ্ছে। ডায়াবেটিস রয়েছে, তিনি নিয়ন্ত্রণে রাখেন না। উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, তিনি নিয়ন্ত্রণে রাখেন না। তার ওজন বেশি। আরেকটি বিষয় রয়েছে, উনি ধূমপান করছেন। তবে বিশ্বাস করছেন না যে এই ধূমপানের কারণে হাতে-পায়ে ব্লক হতে পারে।
আরেকটি হয়তো পারিবারিক কারণ। পারিবারিক কারণে অনেকের চর্বি জমে বেশি। কোলেস্টেরলটা বেশি। তার ক্ষেত্রেও ব্লক হতে পারে। এই ধরনের রোগীদের ধীরে ধীরে হাতের বা পায়ের রক্তনালিতে ব্লক হয়। আরেকটি রয়েছে হঠাৎ করে ব্লক হতে পারে। খুবই বিপজ্জনক। মস্তিষ্কের রক্তনালিতে যদি রক্ত চলাচল বন্ধ হয়, তাকে আমরা বলি স্ট্রোক। হাতে বা পায়ে যদি এ রকম বন্ধ হয়ে যায়, এর আসলে সেই রকম কোনো নাম নেই, কিন্তু আমরা নামকরণ করার চেষ্টা করছি। এ ধরনের রোগীদের যেটি হয়, ধীরে ধীরে হাতের বা পায়ের রক্তনালিতে ব্লক হয়। আরেকটি রয়েছে হঠাৎ করে ব্লক হতে পারে। আমরা যেমন হার্টের রক্তনালি ব্লক হলে বলি হার্ট অ্যাটাক, তেমনি মস্তিষ্কের রক্তনালি বন্ধ হলে বলি ব্রেইন অ্যাটাক বা স্ট্রোক। আবার হাতে বা পায়ে যদি এ রকম বন্ধ হয়ে যায়, এর আসলে সে রকম কোনো লাভ নেই। আমরা একে নামকরণ করার চেষ্টা করছি। লেগ অ্যাটাক বা হ্যান্ড অ্যাটাক। সে ক্ষেত্রে আসলে যখন হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়, তখনই এই ঘটনাগুলো ঘটে।
সাধারণত একজনের হার্টবিট অনিয়মিত। হার্টবিটের একটি ছন্দ রয়েছে। হার্টের দেয়ালটা ঠিকমতো নড়ে না। হার্টের ভালভে সমস্যা রয়েছে। কিংবা তার গলার মধ্যে অতিরিক্ত একটি হাড় রয়েছে। এই ব্যক্তিটির হঠাৎ করে হার্টের মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে। এই রক্তটা জমাট বেঁধে যদি ব্রেইনের দিকে যায়, হবে তার স্ট্রোক, যদি হাতের দিকে যায়, তাহলে হঠাৎ করে হাতটা কালো হয়ে যাওয়া শুরু হবে। যদি পায়ের দিকে যায়, তাহলে পা কালো হয়ে পচে যাওয়া শুরু হবে। একে আমরা বলি হঠাৎ করে ব্লক হওয়া। একে আমরা বলি একিউট লিম্ফ ইসকেমিয়া।