অ্যানেসথেসিয়ার ভীতি কমানোর উপায়
অ্যানেসথেসিয়া বা যাকে আমরা প্রচলিত ভাষায় সার্জারির সময় অজ্ঞান করা বলি, এটি নিয়ে অনেকের ভেতরেই ভীতি কাজ করে। এই ভীতি হয় কেন এবং ভীতি কমানোর উপায়ের বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. চঞ্চল কুমার দেবনাথ।
ডা. চঞ্চল কুমার দেবনাথ বর্তমানে বিআরবি হাসপাতালের এনেস্থেসিওলজি ( নিউরো) বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩২৭৩তম পর্বে সাক্ষাৎকারটি প্রচারিত হয়।
প্রশ্ন : অ্যানেসথেসিয়া নিয়ে ভীতির কারণ কী?
উত্তর : অ্যানেসথেসিয়াকে সাধারণ অর্থে সব মানুষ যেটা বলে থেকে, সেটি হলো অজ্ঞান করা।
সাধারণত বাংলাদেশের চিত্রে দেখা যায়, রোগীকে ক্লিনিকের আউটপেশেন্ট বিভাগে রাখা হয়েছে, রোগীর অস্ত্রোপচার হবে, সার্জনের সঙ্গে তার সুন্দর একটি সম্পর্ক তৈরি হয়ে গেছে। কিন্তু অ্যানেসথেসিওলজিস্টকে রোগী হয়তো চিনেও না। হঠাৎ করে অপারেশন থিয়েটারি একজন মানুষের সঙ্গে দেখা, এই মানুষটা তাকে অজ্ঞান করবে। এই মানুষটাকে সে বিশ্বাস করতে পারবে কি না- তার জ্ঞান ফিরবে কি না- এই যে একটি সমস্যা, এর কারণেই মনে হয় এই ভীতিটা।
এটি যদি হতো যে অ্যানসেথেসিওলজিস্ট আগে তার সঙ্গে পরিচিত হতো, অ্যানেসথেসিওলজিস্ট তাকে আগে সব কিছু ব্যাখ্যা করেছে, তার অস্ত্রোপচার কি, তাকে কি অ্যানেসথেসিয়া দেওয়া হবে, অ্যানেসথেসিয়া দেওয়ার কতক্ষণ পরে তার জ্ঞান ফিরবে, কী ধরনের অ্যানেসথেসিয়া দেওয়া হবে, এগুলো জানলে আমার মনে হয়, এই ভীতি অনেকটা কাটিয়ে উঠতে পারবে।
শুধু কাউন্সেলিং নয়, রোগীর সঙ্গে পরিচয় হবে। অ্যানেসথেসিওলজিস্ট তাকে দেখবেন, সার্জারির সম্পর্কিত অন্য বিষয়গুলোর সঙ্গে প্রস্তুত করবেন। রোগী কতক্ষণ না খেয়ে থাকবে, না খাওয়া অবস্থায় রোগীকে কীভাবে পুষ্টি দেওয়া হবে, এগুলো ঠিক করতে হবে। রোগীর ভীতি দূর করার জন্য তাকে কিছু ওষুধও দেওয়া হয়ে থাকে।
আরো কিছু বিষয় রয়েছে। যেমন : অস্ত্রোপচারের পর মুখে ওষুধ খাবে, না কি ইনজেকশনের মাধ্যমে দেওয়া হবে সেটি আগেই অ্যানেসথেসিওলজিস্ট ঠিক করে দিতে পারেন।