যক্ষ্মার ওষুধ নিয়মিত, সঠিক ডোজে খেলে রোগ সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়। তবে রোগ একটু ভালো হয়ে গেলে অনেকে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেয়। আর এ থেকে বিভিন্ন জটিলতা তৈরি হয়।  

যক্ষ্মার ওষুধ নিয়মিত না খেলে কী জটিলতা হয়, এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৩৮৯তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. ইকবাল হাসান মাহমুদ। বর্তমানে তিনি ইউনাইটেড হাসপাতালের বক্ষব্যাধি বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : যক্ষ্মার ওষুধ নিয়মিত খাওয়ার বিষয়টি অনেকে পালন করেন না। এই বিষয়ে আপনার পরামর্শ কী?

উত্তর : এটি খুব সুন্দর কথা বলেছেন। এক মাস খাওয়ার পরই দেখা যাচ্ছে, তার কফের সঙ্গে রক্ত যাচ্ছে না, জ্বর কমে গেছে, ওজন বেড়ে গেছে, ক্ষুধামান্দ্য চলে গেছে। বেশ ভালো বোধ করছে। তখন সে ওষুধ খাওয়া ছেড়ে দেয়। অনেক সময় একেবারে বন্ধ করে দিচ্ছে। আবার ছয় মাস/ নয় মাস পরে লক্ষণগুলো ফিরে আসছে। তখন আবার ওষুধ খাচ্ছে। এভাবে ওষুধগুলো রেজিসটেন্স ( জীবাণুর বিরুদ্ধে অকার্যকর) হয়ে যাচ্ছে।

এমডিএ টিউবার কলোসিস অত্যন্ত ভয়ঙ্কর একটি ব্যাপার। আর নতুন একটি এসেছে এক্সজিআর। অর্থাৎ সব ওষুধই অকার্যকর হয়ে এই সমস্যাগুলো হচ্ছে। এখন ওই লোকটা যেই জীবাণু আপনার, আমার শরীরে প্রবেশ করাবে, আমরা কিন্তু ওই জীবাণু দিয়েই আক্রান্ত হবো। আমাদেরও কোনো ওষুধে কাজ হবে না। তখন আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে ফেলে আসা ছাড়া কোনো উপায় নেই।