কাঁধের ব্যথা কমাতে চার ঘরোয়া উপায়
কাঁধে ব্যথার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। আর্থ্রাইটিস, ফ্রোজেন সোলডার, কাঁধে অতিরিক্ত চাপ পড়া, দুর্ঘটনা ইত্যাদি কারণে কাঁধে ব্যথা হতে পারে।
কাঁধে ব্যথা বেশি হলে তো অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে, তবে এর আগে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করে দেখতে পারেন। কাঁধে ব্যথা কমাতে কিছু ঘরোয়া উপায় জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট টপ টেন হোম রেমেডি।
১. ঠান্ডা স্যাঁক
কাঁধে ব্যথা কমাতে ঠান্ডা স্যাঁক খুব উপকারী। ঠান্ডা স্যাঁক আক্রান্ত স্থানে একটি অবশ ভাব তৈরি করে। এতে প্রদাহ ও ব্যথা কমে।
* একটি প্লাস্টিকের ব্যাগের মধ্যে বরফের কুচি নিন। একটি তোয়ালে দিয়ে ব্যাগটি মুড়ে নিন।
* আক্রান্ত স্থানে ১০ থেকে ১৫ মিনিট এটি রাখুন।
* ফোলা থাকলে দুই ঘণ্টা পর পর এই স্যাঁক দিন।
* যতক্ষণ না পর্যন্ত ব্যথা ও ফোলা কমে, ততক্ষণ পর্যন্ত পদ্ধতিটি অনুসরণ করুন। তবে সরাসরি কখনো বরফের টুকরো চামড়ায় লাগাবেন না।
২. গরম স্যাঁক
- ঠান্ডা স্যাঁকের মতো গরম স্যাঁকও জয়েন্টের ব্যথা কমাতে কাজ করে। এটি প্রদাহ ও ফোলা কমাতে উপকারী।
- একটি হট ওয়াটার ব্যাগের মধ্যে গরম পানি ভরুন। এবার ১০ থেকে ১৫ মিনিট স্যাঁক দিন। দিনে কয়েকবার এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন, যতদিন না ব্যথা কমে।
- পাশাপাশি গোসল করার সময় গরম পানি ব্যবহার করুন।
৩. ম্যাসাজ
ম্যাসাজ কাঁধের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। ম্যাসাজের ক্ষেত্রে জলপাইয়ের তেল, নারকেল তেল, সরিষার তেল ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন।
- ম্যাসাজ নেওয়ার ১০ মিনিট আগে গোসল করে নিন। এতে পেশিগুলো শিথিল হবে।
- এবার পছন্দমতো একটি তেল হালকা গরম করে কাঁধ ও পিঠে মাখুন।
- ১০ মিনিট ম্যাসাজ করার পর একটি তোয়ালে দিয়ে আক্রান্ত স্থান ঢেকে রাখুন।
- ব্যথা পুরোপুরি ভালো হওয়ার আগ পর্যন্ত এই পদ্ধতি প্রতিদিন অনুসরণ করুন। তবে আঘাতের কারণে কাঁধ ব্যথা করলে সেখানে ম্যাসাজ না করাই ভালো।
৪. ভিটামিন ডি
গবেষণায় বলা হয়, ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট পেশির ব্যথা কমাতে কাজ করে। ভিটামিন ডি পাওয়া যায় সূর্যের আলো থেকে। তাই এই ভিটামিন পেতে প্রতিদিন অন্তত ১০ মিনিট সূর্যের আলোর সংস্পর্শে যান।
এ ছাড়া কিছু খাবারেরও ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। টুনা, ম্যাকরেল, স্যামন মাছ, ডিমের কুসুম, দুগ্ধজাতীয় খাবার, কমলা, সয় মিল্ক ইত্যাদিতে সামান্য পরিমাণ ভিটামিন ডি থাকে। তাই কাঁধের ব্যথা কমাতে এসব খাবারও খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন।