কোমরব্যথা একটি প্রচলিত সমস্যা। সাধারণ থেকে জটিল কারণে কোমরব্যথা হতে পারে। কোমরব্যথা হলে কখন চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি?

এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৪৩২তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মো. নাহিদুজ্জামান সাজ্জাদ। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রিউমাটোলজি বিভাগে পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : কোমরব্যথা কোন পর্যায়ে গেলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে?

উত্তর : কোমরব্যথার ক্ষেত্রে কিছু গুরুতর লক্ষণ রয়েছে। এই লক্ষণগুলো থাকলে জটিল কিছু রয়েছে কি না এটি খোঁজাটা খুব জরুরি হয়ে যায়। যেমন, বয়স যদি বিশের কম হয় বা পঞ্চাশ বছরের বেশি হয়, থোরাসিক এলাকায় যদি ব্যথা হয় এবং কোমরব্যথার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের যদি নিউরোলজিক্যাল ডিসফাংশন থাকে, পা অবশ হয়ে যাওয়া, ঝিন ঝিন করা, কম শক্তি পাওয়া ইত্যাদি থাকলে বুঝতে হবে জটিল কিছু রয়েছে।

আবার কোনো কোনো রোগীর যদি আগে টিবি হওয়ার ইতিহাস থাকে, কোনো কোনো রোগীর যদি ক্যানসার হওয়ার ইতিহাস থাকে, তাহলে এ ধরনের কোমরব্যথা খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। পাশাপাশি যদি কোমরব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হয়, ব্যথা যদি কোনোভাবেই না কমে, তাহলে সে ক্ষেত্রে জটিল কোনো বিষয় রয়েছে কি না খুঁজতে হবে।

আবার কোমরব্যথার সঙ্গে সঙ্গে যদি শরীরের অন্যান্য জয়েন্টে ব্যথা থাকে, তাহলে অবহেলা করা ঠিক হবে না।

প্রশ্ন : কোমরব্যথা বাতজনিত কারণে হচ্ছে কি না, বোঝার উপায় কী?

উত্তর : এখন একজন রোগী যদি আমাদের কাছে কোমরব্যথা নিয়ে আসেন, তখন আমরা আসলে ক্রনোলোজিক্যালই যাই। দেখি রোগীটার বয়স কেমন। তাঁর কত দিন ধরে ব্যথা জানার চেষ্টা করি। ব্যথা কোন জায়গায় রয়েছে, এটি দেখি। ওই ব্যথার পাশাপাশি অন্য কোনো জয়েন্ট আক্রান্ত হচ্ছে কি না দেখি, ব্যথা কখন সবচেয়ে বেশি হয় দেখি।

রিউমাটোলজিস্ট হিসেবে আমাদের প্রধান ফোকাস থাকে প্রদাহজনিত বিষয়ের দিকে। সকালে কোমরব্যথা আধা ঘণ্টা বেশি থাকছে কি না, শরীরটা জমাট বেঁধে থাকছে কি না সেগুলো জেনে নিই। প্রদাহজনিত যেসব কোমরব্যথা রয়েছে, সেগুলো খোঁজার চেষ্টা করি।

সাধারণ সিবিসি, ইএসআর দেখি। পিআরপিটা আমরা দেখি। স্যালোঅ্যাডিক জয়েন্ট বলে একটি জয়েন্ট রয়েছে, পরীক্ষার মাধ্যমে আমরা দেখি সেটি ঠিক রয়েছে কি না। এটি হলে আমরা মনে করি প্রদাহজনিত আরথ্রাইটিস।

অন্যান্য জয়েন্ট রোগের বিষয় রয়েছে কি না দেখি। যেমন রিউমাটয়েড আরথ্রাইটিসে রিউমাটয়েড ফেক্টর, এনডিসিসি আমরা দেখি।