ব্রণের দাগ প্রতিরোধের উপায়
ব্রণ হওয়ার পর অনেক সময় দাগ রয়ে যায়। আর এই দাগ সৌন্দর্যহানি ঘটায়। ব্রণের দাগ প্রতিরোধের উপায় নিয়ে কথা বলেছেন ডা. তাওহীদা রহমান ইরিন।
বর্তমানে তিনি শিওর সেল মেডিকেলের ডার্মাটোলজি বিভাগে পরামর্শক হিসেবে কর্মরত। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৪২৩তম পর্বে অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হয়।
প্রশ্ন : ব্রণের দাগ কমাতে করণীয় কী?
উত্তর : ব্রণের দাগ দূর করতে কিন্তু অত্যাধুনিক চিকিৎসাগুলোর আবির্ভাব। এই অগ্রবর্তী চিকিৎসাগুলোর সঙ্গে আমরা আগে যে চিকিৎসা করতাম, কনভেনশনাল ট্রিটমেন্ট সেগুলো যে হারিয়ে গেছে তা নয়। আমরা বিভিন্ন চিকিৎসা একসঙ্গে করে এক এক পর্যায়ে এক এক ধরনের চিকিৎসা দিয়ে থাকি। ব্রণের পর্যায়ের ক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি হোয়াইট হেডস, ব্ল্যাক হেডস, ব্রণ- সেখান থেকে সিস্টিক অ্যাকনি, নডিউল, অবশেষে এটি অ্যাকনি কঙ্গলোবাটাতে চলে যায়। এর মানে ব্রণের কিন্তু নানা ধরনের রূপ রয়েছে।
প্রশ্ন : এই চিকিৎসাগুলো কাদের ক্ষেত্রে দিয়ে থাকেন?
উত্তর : সিবাসিয়াম গ্রন্থির মুখে যদি কোনো অক্সিডাইস জমে, তাহলে কিন্তু ব্ল্যাক হেডস দেখা দেয়। সেখান থেকে সিস্টিক অ্যাকনে বা যে ধরনের ব্রণ নিয়ন্ত্রণ করা যায় না, সেগুলোতে রূপান্তর হতে পারে। এই ক্ষেত্রে আমরা একটি টপিক্যাল অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে শুরু করি। ব্রণের যে মূল চিকিৎসা রয়েছে, পরিষ্কার, যত্ন ও সুরক্ষা –এগুলো করতে হবে। স্যালিসাইলিক বা গ্লাইকোলিক অ্যাসিডযুক্ত কোনো ক্লিনজার, ওয়েল রেগুলেটর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। এখানে অ্যান্টিবায়োটিক থাকতে পারে বা সালফার থাকতে পারে, নিয়াসিনামাইড থাকতে পারে। পাশাপাশি সেবাম রেগুলেটর সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে বলি। এগুলো প্রাথমিক চিকিৎসা। এরপরও যদি দেখা যায় দানা দানা, তখন আমরা অগ্রবর্তী চিকিৎসা করি। অগ্রবর্তী চিকিৎসাগুলো যেকোনো পর্যায়েই ভালো ফল নিয়ে আসে।
এই ধরনের চিকিৎসার মধ্যে আমরা এক ধরনের অ্যাকনে সলিউশন ব্যবহার করে থাকি। এই সলিউসন হচ্ছে নন অ্যালার্জিক। এতে তার তৈলাক্ত ভাব কমতে থাকে। সিবাসিয়াস গ্রন্থিও স্বাভাবিক রূপে ফিরে যায়। হাইপার অ্যাকটিভ থেকে স্বাভাবিক অবস্থানে চলে আসে। এতে ব্রণ থেকে দাগ হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। একে আমরা দাগ নিয়ন্ত্রণের প্রিভেন্টিভ মেডিসিন বা প্রতিরোধী চিকিৎসাও বলতে পারি।