সময়ের আগে বলিরেখা কেন পড়ে?
স্বাভাবিক ত্বকের যে রেখাগুলো থাকে, এগুলো অতি সূক্ষ্ম। সাধারণত এগুলো দেখা যায় না। যখন এটি স্পষ্ট হয়ে যায় এবং ত্বকের লেভেল থেকে অনেকটা ভেতরের দিকে যায়, তখন এটি স্পষ্ট হয় ওঠে। একে বলিরেখা বলে।
এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৪৭২তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. রেজা বিন জায়েদ। বর্তমানে তিনি ঢাকার পান্থপথে অবস্থিত স্কিন স্কয়ার চর্মরোগ বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : অনেকের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট বয়সের আগে বলিরেখা পড়ে। এর কারণগুলো কী?
উত্তর : এটাই তো স্বাভাবিক যে বয়স বাড়বে আস্তে আস্তে রেখাগুলো স্পষ্ট হবে। এটা একটি নির্দিষ্ট বয়সে হয়। মেয়েদের ক্ষেত্রে একটু আগে হয়ে যায়। তবে ছেলেদের ক্ষেত্রে একটু দেরিতে হয়। মেয়েদের ক্ষেত্রে ৪৫ বছর বয়সে হতে পারে। যদি রেঞ্জ বলা যায়, তাহলে ৪০ থেকে পঞ্চাশের ভেতরে। পাঁচ বছর, অনেকের দশ বছর দেরিতে হতে পারে। আমি মনে করি এটি স্বাভাবিক। তবে এ বয়সের আগেই যদি হয়ে যায়, তাহলে আর কেউ গ্রহণ করতে চায় না। তখনই বলিরেখা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে। একে আমরা প্যাথলজিক ধরে নিই। তখনই এর চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। এটা অবশ্যই তো সৌন্দর্যের একটি ঘাটতি তৈরি করে।
প্রশ্ন : আমরা অনেক সময় দেখি অনেক সময় কিশোরদেরও কপালে ভাঁজ পড়ে। এগুলোকেও কি বলিরেখা বলব?
উত্তর : তাহলে বলতে হয়, বলিরেখা কী কী কারণে হয়। আমি বলছিলাম, বয়স হলে হয়। আসল ঘটনা যেটি হয়, ত্বকের নিচে কিছু ইলাস্টিক টিস্যু থাকে, কোলাজেন টিস্যু থাকে। এগুলোই আসলে ত্বকের আঁটসাঁট ভাব বজায় রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া ফ্যাট রয়েছে। এর মানে হলো, চর্বি, যেটি ত্বকের নিচে থাকে। কিন্তু ছোট বয়সে তো আর চর্বি কমে না, কোলাজেনও কমে না। অনেক বাচ্চা রয়েছে অভ্যাসগতভাবে তাদের মুখের ভঙ্গি বারেবারে একইরকম করতে থাকে। কপাল কুঁচকানো ইত্যাদি ইত্যাদি। আবার অনেক সময় এমন হয় যে তাঁরা প্রয়োজনে করছে। অতিরিক্ত আলোতে সে লেখাপড়া করছে, তখন কপাল কুঁচকে পড়ছে। কোনো কষ্টের কারণে, অনেক সময় মাথাব্যথার কারণে কপাল কুঁচকে যেতে পারে। যদি অনেকক্ষণ বা বারবার এটি হতে থাকে, তাহলে বাচ্চাদেরও বলিরেখা হয়ে যায়।