চুল পড়ছে? জেনে নিন কারণগুলো
চুল পড়া একটি প্রচলিত সমস্যা। বিভিন্ন কারণে চুল পড়ার সমস্যা হতে পারে। কখন চুল পড়াকে সমস্যা বলা হয়? চুল পড়ার কারণ কী?
এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৪৯৫তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মাহবুবুর রহমান। বর্তমানে তিনি অরোরা স্কিন অ্যান্ড হেয়ার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : চুল পড়াকে কখন সমস্যা বলা হয়?
উত্তর : একজন রোগী যখন আমাদের কাছে আসেন, তখনই আমরা বুঝতে পারি, তার কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না। এমনকি দেখা যায়, চুলের সমস্যা নয়, তবে রোগীরা অনেক চিন্তিত হয়ে যায়। অনেকে রয়েছে খুব বেশি সচেতন। দ্রুতই তারা চলে আসে। তার হয়তো খুব জটিল কোনো সমস্যা নয়। যেকোনো কারণেই যখন রোগীরা আসে, ওই একই কথা আমরা ইতিহাস নিই, এরপর রোগীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করি।
সাধারণত রোগীরা এসে বলে, আমার তো প্রচুর চুল পড়ছে। কেউ বলে, অল্প সময়ের মধ্যে প্রচুর চুল পড়ছে, আবার কিছু কিছু রোগী এসে বলে, আমার গত এক থেকে দুই বছর ধরে ধীরে ধীরে চুল পড়ছে। সাধারণত এ দুই ধরনের রোগী আমরা পাই।
প্রশ্ন : দৈনিক একজন মানুষের চুল পড়ার মাত্রা কত হলে একে স্বাভাবিক বলা হবে?
উত্তর : চুল পড়া মানেই কিন্তু রোগ নয়। চুল পড়লে অস্বস্তির কোনো কারণ নেই। চুলের একটি চক্র রয়েছে। একে আমরা হেয়ার সাইকেল বলি। প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০টি চুল পড়তে পারে। এখানে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। এ চুল পড়াটা কিন্তু দৃশ্যমান হয় না। এতে রোগীরা আর চিন্তিত হয় না। এ সংখ্যার বেশি চুল পড়লে তাদের নজরে আসে, তখন আমাদের কাছে চলে আসে।
চুল পড়ার স্বাভাবিক কারণ রয়েছে। এতে প্রতিদিন আমাদের চুল পড়ে। আর রোগের কারণে চুল পড়লে একে বলে অ্যালোজেন রিফ্লাবিয়া। রোগ হওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এর মধ্যে উদ্বেগ একটি কারণ। পুষ্টির ঘাটতি একটি কারণ। হরমোনের সমস্যা, মানসিক চাপ, বিভিন্ন সার্জারি, প্রসবের পরের সময়, কিছু ওষুধ ইত্যাদি কারণ। একে আমরা বলি অ্যালোজেনিক রিফ্লাবিয়া।
আর যেটি এক বা দুই বছর ধরে ধীরে ধীরে হচ্ছে, একে বলি, অ্যান্ডোজেনেটিক্যাল অ্যালোপেসিয়া। আরেকটি বিষয় রয়েছে, রাতে ঘুমিয়েছে, ভালো রয়েছে, তবে সকালবেলা উঠে দেখে নির্দিষ্ট একটি জায়গায় চুল নেই। এটাকে অনেকে কাকে খেয়ে ফেলেছে বা তেলাপোকা খেয়ে ফেলেছে বলে। মূলত এ তিনটি অবস্থা নিয়ে রোগীরা আমাদের কাছে আসে।