রক্তস্বল্পতা নির্ণয়ের পরীক্ষা কী?
সাধারণত মেয়েদের ক্ষেত্রে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ১১ দশমিক ৫ থেকে ১২ দশমিক ৫ থাকা স্বাভাবিক। আর ছেলেদের ক্ষেত্রে ১২ থেকে ১৪ স্বাভাবিক। এ স্বাভাবিক মাত্রার নিচে হিমোগ্লোবিন নেমে গেলে একে রক্তস্বল্পতা বলে।
এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৫৮৭তম পর্বে কথা বলেছেন সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. সালাহ উদ্দিন শাহ। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে হেমাটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : রক্তস্বল্পতা নির্ণয়ে কী কী ধরনের পরীক্ষা আপনারা করে থাকেন?
উত্তর : আমাদের স্বাভাবিক যে জিনিসটা, আয়রনের ঘাটতি আমাদের দেশে প্রচলিত। আয়রন প্রোফাইলটা আমরা করে ফেলব, এটি কম রয়েছে, নাকি বেশি রয়েছে দেখব। দ্বিতীয় হলো, যদি আয়রন প্রোফাইল স্বাভাবিক থাকে, আমরা একটি হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রোফ্রোসিস করব।
আপনি জানেন, আমাদের দেশে থ্যালাসেমিয়া রোগীর সংখ্যা অনেক। ১২ দশমিক ২ শতাংশ প্রায় থ্যালাসেমিয়া ক্যারিয়ার আমাদের দেশে। কখনো কখনো ৪ দশমিক ২ শতাংশ আমাদের দেশে থ্যালাসেমিয়ার রোগী। এদের প্রতি মাসে মাসে রক্ত দিতে হয়। তাহলে হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রোফ্রোরোসিস যদি করি আমরা, তাহলে আমরা বুঝতে পারব সে থ্যালাসেমিয়ার বাহক, নাকি রোগী। ক্লিনিক্যালই পরীক্ষা যদি আমরা নিই, তাহলে বুঝতে পারব, দীর্ঘমেয়াদি রক্ত তার যাচ্ছে কি না। এ বিষয়গুলো খোঁজার পাশাপাশি আমরা একটি অ্যান্ডোস্কোপি করি। খাদ্যনালির কোথাও অল্পভাবে রক্তক্ষরণ হচ্ছে কি না দেখি।
বয়স যখন চল্লিশের ওপরে থাকে, তখন আমরা কোলনোস্কোপি করে দেখি যে লোয়ার জিআই ট্র্যাক্টে কোনো ধরনের লেশন রয়েছে কি না। এভাবে আমরা রক্তস্বল্পতার কারণ খোঁজার চেষ্টা করি। সিবিসি ও প্যারিফেরাল ব্লাড টেস্ট করলে ব্লাড ক্যানসার রয়েছে কি না, সেটারও প্রাথমিক ধারণা পাই।
পাশাপাশি একটি আলট্রাসনোগ্রাম যদি করি, তাহলে সেখান থেকেও আমরা কিছু তথ্য পেতে পারি। এগুলো করলে আমরা রক্তস্বল্পতার কারণগুলো বুঝতে পারি।