নবজাতকের নাভির যত্নে কী করবেন?
নবজাতকের নাভির যত্নের বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে এর যত্ন না নিলে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। নবজাতকের নাভির যত্নে করণীয় কী?
এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৫৫০তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. আবু তালহা। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হসপিটালে শিশু বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : নবজাতকের নাভির যত্ন কীভাবে নিতে হবে?
উত্তর : নাভিতে আর্টারি থাকে, ভেন থাকে। এটি সরাসরি রক্তের সঙ্গে সম্পর্কিত। এখন যেটা করি, এটি সরকারেরও নিয়ম, একটি বাচ্চা জন্ম নিলে আমরা অবশ্যই তার নাভি কাটব। নাভি কেটে একদম পরিষ্কার- পরিচ্ছন্ন করে জীবাণুমুক্ত সুতা অথবা ক্লাম দিয়ে নাভিকে বেঁধে দেই। সাত দশমিক এক ভাগ ক্লোর এক্সিডিন নামে একটি ওষুধ রয়েছে, সেটি দিয়ে আমরা নাভিকে ভিজিয়ে দেই। এই ওষুধ বাদ দিয়ে অন্য কোনো ওষুধ দিয়ে দিলে এটি কিন্তু হবে না। এটি দিলে নাভিটা সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্ত হয়ে যায়। এরপর আমরা বলি এ ওষুধটির পর নাভিতে আর কিছু দেবেন না। বিশেষ করে গ্রামে যেটি করা হয়, এই নাভিটা কাটা হয়, অপরিষ্কার একটি ছুড়ি দিয়ে। এটা করা যাবে না। প্রবীণ নারীরা নাভিতে অনেক সময় গোবর দেয়। আবার বিভিন্ন ধরনের তেল দেয় বা হারিকেন দিয়ে স্যাঁক দেয়।
আসলে এগুলো যদি করেন, বাচ্চার মারাত্মক ধরনের সংক্রমণ হবে। নাভির যে শিরা বা ধমনি রয়েছে, এটি দিয়ে এ সংক্রমণ একেবারে রক্তের মধ্যে মিশে যাবে। রক্তের মধ্যে মিশে গেলে একেবারে নিউনেটাল সেপটিসেমিয়া হবে। বাচ্চার অনেক সময় দেখা যায় টিটেনাস হয়ে যায়।
প্রশ্ন : নাভি কতদিনে শুকিয়ে যায়?
উত্তর : একটি নাভি সাধারণত সাত থেকে আট দিনে শুকিয়ে যায়। আপনা আপনি শুকিয়ে যায় এবং আপনা আপনি পড়ে যায়। আরো একটি জিনিস দেখি আমরা, নাভি পড়ে যাওয়ার পর অনেকে এখানে স্যাঁক দেয়, তেল দেয়। আমার মনে হয়, এগুলো করার দরকার নেই। এটা যদি দেন, তাহলে কিন্তু সেটি রক্তে চলে যেতে পারে। এটা কখনোই করা যাবে না।