ঘাড়ব্যথার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। বিভিন্ন কারণে এ সমস্যা হয়। ঘাড়ব্যথার কারণে বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. মহিবুবুর রহমান রাফে।

বর্তমানে তিনি ঢাকার সরকারি কর্মচারী হাসপাতালে ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৫৪৯ তম পর্বে সাক্ষাৎকারটি প্রচারিত হয়।

প্রশ্ন : কী কী কারণে ঘাড়ব্যথা হতে পারে?

উত্তর : একটি বড় দল রয়েছে, তারা ভাবে, ঘাড়ব্যথা মানে প্রেশার বেড়ে গেল কি না। যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, তাদের অনেক সময় ঘাড়ব্যথা হয়। তবে আমরা যে ঘাড়ব্যথার কথা বলছি, তাদের বেশিরভাগই আসে মেকানিক্যাল কারণ থেকে। প্রবীণরা অনেক সময় হাড় ক্ষয়জনিত কারণে ঘাড়ের ব্যথা নিয়ে আসে। এর মধ্যে কিছু রোগী রয়েছে, এদের মধ্যে ইন্টারভার্টিক্যাল ডিস্কের প্রোলাপস নিয়ে ঘাড়ব্যথা নিয়ে আসে। ঘাড়ব্যথা শুধু কি ঘাড়ে, নাকি এটা হাতে নামছে? কারণ, ঘাড়ে কিছু স্নায়ু আছে, যেগুলো আমাদের হাতকে কাজ করায়।

আরেকটি দল রয়েছে, যারা মেকানিক্যাল কারণে ভুক্তভোগী। তারা লম্বা সময় ধরে, ডিভাইস ব্যবহার করে, এ কারণে ব্যথা হতে পারে। এ ছাড়া ট্রমার কারণে হতে পারে। পেশির স্পাজমের কারণে হতে পারে। অনেক সময় দেখা যায়, ক্যানসার ডিপোজিট হয়।

প্রশ্ন : ঘাড়ব্যথা নিয়ে কোনো রোগী এলে আপনারা প্রথমে কীভাবে ব্যবস্থাপনা করেন?

উত্তর : একজন চিকিৎসকের রোগ নির্ণয়ের বড় হাতিয়ার হলো ইতিহাস। আর এটি হলো, তার নির্দিষ্ট পরীক্ষা। কোনো কোনো রোগী এসে হয়তো বললেন গতকাল থেকে ব্যথা হয়েছে। আমরা তখন ধরে নেব এটি পেশি স্পাজম। যদি একজন প্রবীণ মানুষ আসেন, যিনি হয়তো লম্বা সময় ধরে ঘাড়ব্যথায় ভুগছেন, তখন সন্দেহ থাকবে স্পনডাইলোসিসের কারণে ব্যথা কি না। তখন সেই অনুযায়ী আমি আমার পরীক্ষাগুলো সাজাব। আবার যাদের রেডিকোলপ্যাথি রয়েছে, সে ক্ষেত্রে কেবল পরীক্ষা নয়, এক্সরে অথবা এমআরআইর মাধ্যমে পরীক্ষা করতে হয়। তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে সব মিলিয়ে একটি অঙ্ক দাঁড় করাই। চিকিৎসার মূল বিষয়টি হলো, রোগ নির্ণয়। রোগ নির্ণয় ছাড়া তার চিকিৎসা পূর্ণতায় পৌঁছাবে না। কারণ, জানার জন্যই নিশ্চয়ই আপনারা বিভিন্ন পথ অবলম্বন করেন।