যারা বইকে ভালোবাসেন তাঁদের জন্য এক অনন্য রাজ্য গড়ে উঠেছে শাহবাগে, বেশ কয়েক বছর আগেই- পাঠক সমাবেশ কেন্দ্র। লাখো বইয়ের এই সমাহার নিয়ে দোকানটি আজিজ মার্কেটের উল্টো দিকে, অগ্রণী ব্যাংকের দোতলায়।

তবে পাঠক সমাবেশের শুরুটা কিন্তু এখানে নয়। সূচনা হয়েছিল আজিজ মার্কেটে, ১৯৮৭ সালে, ছোট্ট একটি দোকান থেকে। সেই ছোট দোকান থেকেই পাঠকের মন জয় করে এখন দেশের অন্যতম বৃহৎ বই বিক্রয় কেন্দ্র হয়ে উঠেছে পাঠক সমাবেশ। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এখন পাঠক সমাবেশ কেন্দ্র রয়েছে কলকাতাতেও।

পাঠকদের বইয়ের প্রতি আকৃষ্ট করতে, তাদের হাতে সহজে বই পৌঁছে দিতে এবং পাঠকদের আরো কাছে যেতে পাঠক সমাবেশ তৈরি করেছে রিডার্স ক্লাব। এই ক্লাবের সদস্যদের নতুন বই সম্পর্কে জানানো, বই ক্রয়ে ছাড় এবং হোম সার্ভিসের সুবিধা দেওয়া হয়। কোনো বই না পেলে, অর্ডার করলে পাঠক সমাবেশ বইও সংগ্রহ করে দেয়।

বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী তাহমিদ হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি বই পড়তে ভালোবাসি। এখানে সব ধরনের বইয়ের সংগ্রহ আছে। তাই আমি এখানে প্রায়ই আসি। বই দেখি, পড়ি, ভালো লাগলে কিনে নিই। শান্ত একটা পরিবেশ। এই বইয়ের রাজ্যে কীভাবে সময় কেটে যায় টেরই পাওয়া যায় না।’

কথা হয় পাঠক সমাবেশ কেন্দ্রের ডাটা এন্ট্রি অপরাটের রাসেল আহমেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘প্রথম থেকেই বইয়ের উন্নত রুচি তৈরিতে কাজ করে আসছি আমরা। যেসব বই সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে সেসব বই বাজারজাতের দায়বদ্ধতা থেকে আমাদের যাত্রা শুরু। সবসময় পাঠকদের সহযোগিতা পেয়েছি। এক কথায় বলা যায়, সম্মিলিতভাবে পাঠকরাই পাঠক সমাবেশকে গড়ে তুলেছেন।’

শুধু বইঘরে থেমে থাকেনি পাঠক সমাবেশ। বিদেশি প্রকাশনা সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে তারা। পাঠক সমাবেশের নিজেদেরও রয়েছে একই নামে একটি প্রকাশনা সংস্থা। তাদের প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা দুই শতাধিক। প্রকাশনা জগতে তথা সমগ্র পৃথিবীর পাঠকদের কাছে জায়গা দখল করার জন্য পাঠক সমাবেশ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।