ব্রণের জন্য গ্রিন-টি
ত্বকের যত্নে গ্রিন-টির কোনও বিকল্প আছে বলে তো মনে হয় না। তাই তো সকাল-বিকাল গ্রিন টি খাওয়া পরামর্শ দেন অনেকে। এই বিশেষ ধরনের চা-টি শুধু ত্বককে সুন্দর করে না, সেই সঙ্গে নানা রোগের প্রকোপ কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীর থেকে নানা ক্ষতিকর উপাদানকে বার করে দেয়। ফলে নানা ধরনের ছোট-বড় রোগ সব দূরে থাকে। কিন্তু আজ গ্রিন টির অন্য় এক ধরনের ব্য়বহার নিয়ে আলোচনা করা হবে এই প্রবন্ধে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে টেনার হিসাবে গ্রিন টি দারুন কার্য়করি। কিন্তু প্রশ্ন হল কীভাবে বানাতে হবে এটি। সম্প্রতি জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ে জানানো হয়েছে ব্রণের জন্য গ্রিন-টি ব্যবহারের নিয়ম। চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে।
উপকরণ
১. দু চামচ গ্রিন টি
২. এক বাটি জল
কিভাবে বানাতে হবে
১. একবাটি জল নিয়ে প্রথমে ফুটিয়ে নিন জলটা।
২. যখন দেখবেন জলটা ফুটতে শুরু করেছে তখন তাতে পরিমাণ মতো গ্রিন টি দিয়ে দিন।
৩. কিছুক্ষণ ফোটান জলটাকে।
৪. যখন দেখবেন জলটা গাড় হলুদ হয়ে গেছে তখন আঁচটা বন্ধ করে দিন।
৫. জলটা ঠান্ডা করুন।
৬. একটা কন্টেনারে ঢেলে রাখুন জলটা।
কিভাবে ব্যবহার করবেন
১. জলটা ফ্রিজে রাখতে হবে।
২. একটা তুলোতে অল্প করে গ্রিন-টির জলটা নিয়ে মুখটা পরিষ্কার করুন।
৩. যখন দেখবেন গ্রিন-টির জলটা একেবারে শুকিয়ে গেছে তখন মুখটা ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৪. দিনে দুবার এমন করলে দেখবেন ব্রণ কমতে শুরু করবে।
গ্রিন-টির উপকারিতা
১. যে যে ক্ষতিকর উপাদানের কারণে ব্রণ হয় সেগুলির কর্মক্ষমতা কমিয়ে ফেলে গ্রিন টিতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।
২. প্রকৃতিক সান স্ক্রিন হিসেবেও কাজ করে গ্রিন টি।
৩. ত্বকের বয়স কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় এই চা-টি।
৪. গ্রিন টিতে উপস্থিত পলিফেনেল ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা কমায়।
৫. বলি রেখা কমায় গ্রিন টি টোনার।
৬. ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
৭. সূর্য়ের অতি বেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে বাঁচায়।
৮. ত্বকের নানা রোগের প্রকোপ কমায়।
৯. হ্রাইপার পিগমেন্টটেশন কমায়।
১০. ত্বকের চিদ্রগুলিকে ছোট করতে সাহায্য় করে গ্রিন টিতে উপস্থিত অ্যাসট্রিনজেন্ট নামে একটি উপাদান।
১১. ত্বকের তৈলাক্তভাব কমায়।
১২. ব্লেক হেডসের প্রকোপ কমায়।
১৩. ত্বককে ভেতর থেকে সুন্দর করে তুলতে গ্রিন টি সাহায্য করে।
১৪. ডার্ক সারকেল কমায়।