২৫ টাকায় চারুকলার চিকেন ফ্রাই
ছোট ছোট চপ একটা বড় ট্রের ওপর। দেখলেই মনে হবে একটু খাই। যখন একটা তুলে মুখে দেবেন, প্রথমে একটা মুড়মুড়ে অনুভূতি আসবে। মুড়মুড় করে ভেঙে যাবে ওপরের পাতলা মসলার প্রলেপটা। আরো একটু জোরে কামড় বসালে বেরিয়ে পড়বে ছোট্ট রসালোর টুকরো চিকেন। এখানেই শেষ নয়, এর পর যখন আরো এক টুকরো নিয়ে ওদের দেওয়া হালকা সবুজ সসে ভিজিয়ে মুখে পুরবেন, তখন টক, ঝাল, মিষ্টি, মুচমুচে সব মিলিয়ে হারিয়ে যাবেন অন্য এক জগতে। বলছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের গেটের সামনের চিকেন ফ্রাইয়ের কথা। প্রায় প্রতিদিন বিকেল ৩টার পর থেকে বিক্রি শুরু হয়। সঙ্গে আরো রয়েছে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই।
কোথায়?
শাহবাগ থেকে পাবলিক লাইব্রেরি পার হয়ে হাতের ডানে চারুকলার মেইন গেট। ধীরে-সুস্থে পার হয়ে সামনের দিক, অর্থাৎ জাতীয় কবির সমাধির দিকে একটু এগোলেই হাতের ডানে পড়বে চিকেন ফ্রাইয়ের ভ্যানটি। একটা কেরাসিনের চুলার সামনে কাঠের বানানো একটা টেবিলের মতো, যার ওপর ট্রেতে চিকেন ফ্রাই, আর পাশে সাজানো অনেক প্লাস্টিকের প্লেট। প্লেটে চিকেন ফ্রাই নিয়ে সস ঢেলে, খেয়ে সবাই হিসাব বলে দাম দিয়ে যাচ্ছেন। ঢাকার যেকোনো প্রান্ত থেকে চলে আসুন শাহবাগ। সেখান থেকে হেঁটেই যেতে পারবেন। তবে নীলক্ষেত দিয়ে এলে রিকশা নিয়ে আসতে হবে হাঁটতে না চাইলে। রিকশা ভাড়া ৩০ টাকা।
কত দাম?
কথা বলে জানা যায় প্রায় ১০ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি এই ব্যবসা করছেন। এর আগে আলুর চপও বিক্রি করতেন। এখন শুধু চিকেন ফ্রাইয়ের মাঝে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বিক্রি করেন। প্রতিদিন প্রায় এক থেকে দেড় হাজার ফ্রাই বিক্রি হয় বলে জানান এই ব্যবসায়ী। প্রতি পিস চিকেন বিক্রি হয় ১০ টাকা করে। আর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ১০ টাকা থেকে শুরু। তবে শুধু ফ্রেঞ্চ ফ্রাই নিলে প্রতি প্লেট ২৫ টাকা। চাইলে বাসার জন্যও নিয়ে যেতে পারেন। কোনো এক পড়ন্ত বিকেলে প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে চলে আসতে পারেন চারুকলার এই মজাদার চিকেন ফ্রাই খেতে। তারপর একটু সময় বসতে পারেন চারুকলার বকুলতলায়।
খাওয়া শেষে একটু খেয়াল করলে দেখবেন একটা ঝুড়ি রাখা আছে ময়লা ফেলার জন্য। দয়া করে ময়লা ফেলার জন্য ওই ঝুড়িটাই ব্যবহার করুন।