শৈশবে ধর্মচর্চা জীবনকে সুখী করে তোলে
শৈশব ও বয়ঃসন্ধিকালে অধ্যাত্মচর্চা বা ধর্মচর্চা সাবালকত্ব প্রাপ্তির আগেই ইতিবাচক স্বাস্থ্য তৈরিতে সাহায্য করে। নতুন এক গবেষণা বলছে, তরুণ বয়সে যারা সাপ্তাহিক বা দৈনিক প্রার্থনা অথবা ধ্যান করেন, তাদের জীবনে সন্তুষ্টি ও ইতিবাচকতা আসে।
গবেষণা আরো বলছে, যারা নিয়মিত ধর্মচর্চা করেন, তাদের ভেতর বিষণ্নতার লক্ষণ, ধূমপান, নেশাজাতীয় দ্রব্য গ্রহণ অথবা যৌনবাহিত রোগ কম দেখা গেছে।
গবেষণা নিবন্ধটির প্রধান লেখক ইং চেন বলেছেন, ‘আমাদের স্বাস্থ্য ও মাতৃত্ব-পিতৃত্ব চর্চায় এই উদঘাটন খুবই জরুরি। অনেক ছেলেমেয়েই ধর্মীয়ভাবে বড় হয়। গবেষণা বলছে, এটি তাদের স্বাস্থ্যগত আচরণ, মানসিক স্বাস্থ্য ও সর্বোপরি সুখী জীবন গঠনে সহায়ক।’
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, নার্সেস হেলথ স্টাডির (২) (এনএইচএস-২) মায়ের স্বাস্থ্যের পরিসংখ্যান ও গ্রোয়িং আপ টুডে স্টাডির (জিইউটিএস) ছেলেমেয়ের বেড়ে ওঠার পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে এই গবেষণা নিবন্ধটি লেখা হয়েছে।
গবেষকরা মানসিক স্বাস্থ্য, আর্থসামাজিক অবস্থা, নিগ্রহের ইতিহাস, বিষণ্নতার লক্ষণ ও ধর্মীয়ভাবে বেড়ে ওঠার প্রভাব পর্যালোচনা করেন। মার্কিন সাময়িকী এপিডেমোলজিতে এই নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণায় দেখা যায়, শৈশব ও বয়ঃসন্ধিকালে সপ্তাহে অন্তত একদিন যারা ধর্মচর্চা করেছেন, তাদের প্রায় ১৮ শতাংশের বেশি প্রাপ্তবয়সে (২৩-৩০) অনেক সুখী হন, ২৯ শতাংশেরও বেশি নিজ সম্প্রদায়ে স্বেচ্ছাসেবক হন এবং ৩৩ শতাংশের কম অবৈধ ড্রাগ গ্রহণ করেন (যারা ধর্মচর্চা করেননি তাদের তুলনায়)।
বেড়ে ওঠার সময় যারা প্রতিদিন প্রার্থনা বা ধ্যান করেন, তারুণ্যে তাদের ১৬ শতাংশের বেশি অধিক সুখে থাকেন, অল্প বয়সে যৌনতায় জড়িয়ে পড়েন ৩০ শতাংশের কম এবং ৪০ শতাংশের কম যৌনবাহিত রোগে আক্রান্ত হন (যারা কখনোই প্রার্থনা বা ধ্যান করেননি তাদের তুলনায়)।
ধর্মচর্চা বড়ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে না পারলেও যাদের ধর্মবিশ্বাস আছে, একা প্রার্থনা বা ধ্যান করেন; তাদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আসে।
গবেষক ভ্যানডের উইলি বলেছেন, ধর্মচর্চা বয়ঃসন্ধির অনেক বিপদ থেকে রক্ষায় সাহায্য করে, যেমন বিষণ্নতা, নিগ্রহ ও ঝুঁকি নেওয়া। এই অভ্যাসগুলো ইতিবাচকভাবে সুখ, স্বেচ্ছাসেবা, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের বৃহৎ ধারণা ও ক্ষমাশীলতায় অবদান রাখে।