অষ্টমীতে খিচুড়ি-লাবড়া-পায়েস
অষ্টমীতে উপবাস রেখে চলে দেবীবন্দনা। অঞ্জলি শেষে তাই একটু স্পেশাল কিছু খাওয়া চাই। আর সেই বিশেষ কিছু যদি হয় খিচুড়ি-লাবড়া-পায়েস, তাহলে তো কথাই নেই। কী করে বানাতে হয় সেই রেসিপি, তারই বিবরণ থাকল এবার।
খিচুড়ি
উপকরণ : পোলাওয়ের চাল তিন কাপ, মুগ ডাল এক কাপ, আস্ত গরম মশলা কয়েকটা, তেজপাতা চার-পাঁচটি, শুকনা মরিচ তিনটি, কাঁচামরিচ পাঁচ-ছয়টি, আদা থেঁতো করা এক টেবিল চামচ, পাঁচফোড়ন এক চিমটি, তেল এক কাপ, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, গরম পানি আট কাপ, লবণ স্বাদমতো, চিনি সামান্য।
প্রণালি : মুগডাল শুকনা কড়াইয়ে সোনালি করে ভেজে নিন। ঠান্ডা হলে ডালটা ধুয়ে রাখুন। হাড়িতে তেল দিন। তেল গরম হলে শুকনা মরিচ ফোঁড়ন দিন। মরিচ কালচে হলে পাঁচফোড়ন, তেজপাতা, গরম মশলা, ছেঁচা আদা দিন। ভাজা হলে চাল দেবেন। চাল ভাজা হলে ডাল মিশিয়ে হলুদ দিয়ে নাড়বেন। এরপর পানি দিয়ে দিন। কাঁচামরিচ ও লবণ দিয়ে ঢেকে রাখুন। ফুটে উঠলে চুলার আঁচ কমিয়ে দেবেন। চিনি দিয়ে কিছুক্ষণ মৃদু আঁচে ঢেকে রাখবেন। ঝরঝরে হলে নামিয়ে পরিবেশন করুন।
লাবড়া
উপকরণ : মিষ্টি কুমড়া দুই ফালি, আলু বড় পাঁচটা, পেঁপে একটা, গাজর চারটা, চিচিঙ্গা দুইটা, পাঁচফোড়ন এক চিমটি, তেজপাতা দুইটা, শুকনা মরিচ দুইটা, কাঁচামরিচ পাঁচ-ছয়টা, হলুদ গুঁড়া আধা চা চামচ, তেল দুই টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, চিনি সামান্য।
প্রণালি : সব সবজি পাতলা পাতলা করে কেটে ধুয়ে রাখুন। কড়াইয়ে তেল গরম করে শুকনা মরিচ ফোঁড়ন দেবেন। এরপর একে একে পাঁচফোড়ন, তেজপাতা দেবেন। সবজিগুলো দিয়ে দিন। হলুদ গুঁড়া দিয়ে ঢেকে রেখে মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন। কিছুক্ষণ পর লবণ, কাঁচামরিচ, সামান্য পানি দিয়ে ঢেকে রাখুন। পানি শুকিয়ে গেলে সামান্য চিনি দিয়ে মৃদু আঁচে খানিকক্ষণ ঢেকে রেখে নামিয়ে ফেলুন।
পায়েস
উপকরণ : দুধ দুই লিটার, পোলাওয়ের চাল এক কাপ, মিশ্রি আধা কেজি, লবণ সামান্য, কিশমিশ এক টেবিল চামচ, কাজু বাদাম এক টেবিল চামচ।
প্রণালি: হাড়িতে দুধ এবং চাল দিয়ে জ্বাল দিন। সামান্য লবণ মেশান। চাল সিদ্ধ হলে মিশ্রি দিয়ে নাড়তে থাকুন। বারবার নাড়বেন নয়তো তলায় লেগে যাবে। ঘন হলে নামিয়ে কিশমিশ ও কাজুবাদাম ছড়িয়ে দিন। ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন।