নবমীতে কচুরি-ছোলার ডাল-নাড়ু
নবমীতে সারাদিন ঘুরে বেড়ানো। তাই সেদিনের খাবারে হালকা কিছু থাকলে শরীরটা ঝরঝরে থাকবে পুরোটা দিন। তাই বলে পূজা-স্পেশাল খাবার হবে না, তা তো হয় না। নবমীর দিনের জন্য তাই তোলা থাকল কচুরি-ছোলার ডাল ও নারকেলের নাড়ু।
কচুরি
উপকরণ : ময়দা ছয় কাপ, লবণ দুই চিমটি, মুগের ডাল দুই কাপ, তেল চার কাপ, মরিচ দুটি, ধনেপাতা অল্প, পানি প্রয়োজনমতো।
প্রণালি : একটি বড় পাত্রে ময়দা নিয়ে তাতে লবণ এবং এক টেবিল চামচ তেল দিয়ে ভালো করে মেশান। অল্প অল্প করে পানি মিশিয়ে ময়দাটা মাখুন। বেশি শক্ত বা বেশি নরম যেন না হয়। ছোট ছোট গোল গোল আকৃতিতে বেলে নিন। এর আগে মুগের ডালটিকে সেদ্ধ করে পাশে রাখুন। তাতে লবণ, মরিচ, ধনেপাতা মেশান। ডাল সেদ্ধটিকে ময়দার মধ্যে পুরে গোল গোল করে লুচি-আকৃতি করুন। একটা কড়াইয়ে তেল গরম করে সেগুলো সোনালি করে ভেজে তুলুন।
ছোলার ডাল
উপকরণ : ছোলার ডাল ২০০ গ্রাম, কাজুবাদাম এক চা চামচ, কিশমিশ এক চা চামচ, নারকেলের দুধ এক কাপ, ঘি এক টেবিল চামচ, তেজপাতা দুইটা, টমেটো একটা, জিরাবাটা এক চা চামচ, হলুদ গুঁড়া এক চা চামচ, আদা বাটা এক চা চামচ, শুকনা মরিচ গুঁড়া এক চা চামচ, শুকনা মরিচ দুটি, তেল দুই টেবিল চামচ, গরম মশলা বাটা এক চা চামচ, লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি : ছোলার ডাল সিদ্ধ করে রাখুন। কড়াইয়ে তেল গরম হলে শুকনা মরিচ ও তেজপাতা ফোঁড়ন দিন। হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, লবণ, আদা ও জিরাবাটা দিয়ে কষান। ডাল দিয়ে দিন। ফুটে উঠলে নারকেলের দুধ মেশান। ঘন হলে ঘি, কাজুবাদাম, কিশমিশ ও গরম মশলা বাটা দিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন।
নারকেলের নাড়ু
উপকরণ : নারকেল বড় দুইটা, গুড় ৫০০ গ্রাম
প্রণালি : নারকেল কুরিয়ে নিয়ে গুড়সহ কড়াইয়ে দিন। অনবরত নাড়তে থাকুন। আঠার মতো হয়ে এলে অল্প একটু নামিয়ে নাড়ু বানিয়ে দেখুন। যদি ভালোভাবে নাড়ু তৈরি হয়ে যায়, তাহলে বুঝবেন পাক ঠিক আছে। তখন নামিয়ে নিয়ে গরম থাকতে থাকতেই নাড়ু বানিয়ে ফেলুন।