দশমী মানেই বিদায়ের ঘণ্টা বেজে চলা সুর বাতাসের গায়ে। দেবীকে বিদায় জানাতে হবে। একটু ভারাক্রান্ত মন তো থাকেই। আসছে বছর আবার হবে—এই সান্ত্বনা মনে রেখেই তাই শেষ দিনে একটু পেটপুরে খাওয়া। দশমীর ভূরিভোজে তাই থাকল পোলাও-মাংস।

পোলাও

উপকরণ : পোলাওয়ের চাল চার কাপ, পেঁয়াজ কুচি এক কাপ, আদা বাটা এক টেবিল চামচ, পেঁয়াজ বাটা এক টেবিল চামচ, পেঁয়াজ বেরেস্তা এক কাপ, তেজপাতা তিন-চারটা, এলাচ তিন-চারটা, লবঙ্গ তিন-চারটা, দারুচিনি তিন-চার টুকরা, কাঁচামরিচ সাত-আটটা, তেল এক কাপ, পানি পৌনে আট কাপ, লবণ প্রয়োজনমতো, চিনি সামান্য।

প্রণালি : প্রথমে হাঁড়িতে তেল দিয়ে তেজপাতা, গরম মসলা ফোঁড়ন দিন। এরপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে সোনালি করে ভাজুন। পেঁয়াজ, আদা বাটা দিয়ে নাড়ুন। চাল দিয়ে ভালোভাবে ভাজুন। ভাজা হলে আগে থেকেই গরম করে রাখা পৌনে আট কাপ পানি দিন। লবণ ও কাঁচামরিচ দিয়ে ঢেকে রাখুন। ফুটে উঠলে আঁচ কমিয়ে দিন। চিনি মেশান। কিছুক্ষণ দমে রাখুন। হয়ে গেলে ওপরে বেরেস্তা ছিটিয়ে পরিবেশন করুন।

খাসির মাংস

উপকরণ : খাসির মাংস ৫০০ গ্রাম, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, টক দই আধা কাপ, আদা বাটা এক টেবিল চামচ, রসুন বাটা দুই চা চামচ, পেঁয়াজ বাটা এক টেবিল চামচ, কাজুবাদাম বাটা দুই চা চামচ, গরম মসলা এক চা চামচ, শুকনা মরিচ গুঁড়া এক চা চামচ, হলুদ গুঁড়া এক চা চামচ, ঘি এক টেবিল চামচ, সয়াসস দুই চা চামচ, চিনি সামান্য, তেল আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি : মাংসে সয়াসস মাখিয়ে দুই ঘণ্টা ম্যারিনেট করুন। কড়াইয়ে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি সোনালি করে ভাজুন। সব মসলা ও দই দিয়ে কষান। এবার মাংস দিয়ে ভালো করে কষাতে থাকুন। কষানো হলে অল্প পানি দিয়ে মৃদু আঁচে ঢেকে রান্না করুন। সিদ্ধ হয়ে ভুনা ভুনা হলে ঘি ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।