১০ টাকার অমৃত
মিষ্টিপাগল বাঙালির পছন্দের তালিকার শীর্ষে রসগোল্লা। আমাদের সবচেয়ে প্রিয় রসগোল্লার নাম শুনলেই মনে পড়ে যায় দক্ষিণাঞ্চল তথা গোপালগঞ্জের বিখ্যাত দত্তের মিষ্টি।
দত্তের মিষ্টির ইতিহাস
গোপালগঞ্জ জেলার কোট চত্বর এলাকায় প্রায় ৫০ বছর আগে সুধীর দত্ত মিষ্টির ব্যবসা শুরু করেন। কালক্রমে সুধীর দত্তের বানানো মিষ্টি দত্তের মিষ্টি নামে পরিচিত লাভ করে। বর্তমানে তিনি অসুস্থ হওয়ায় তাঁর দুই ছেলে পরিচালনা করছেন দোকানটি।
গোপালগঞ্জসহ আশপাশের এলাকায় এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না, যিনি দত্তের মিষ্টির স্বাদ নেননি। এমনকি যাঁরা গোপালগঞ্জে বিভিন্ন কাজ অথবা ঘুরতে আসেন, তাঁরাও দত্তের মিষ্টির স্বাদ নিতে ভোলেন না।
যেভাবে তৈরি হয়
প্রতিদিন আশপাশের এলাকার ঘোষদের কাছ থেকে খাঁটি গরুর দুধ সংগ্রহ করে সেখান থেকে ছানা তৈরি করা হয়। গরুর খাঁটি দুধ থেকে পাওয়া ছানা দিয়ে রসগোল্লা ও সন্দেশ বানানো হয়। প্রতিদিন রসগোল্লা ও সন্দেশ তৈরি করতে ব্যবহৃত হয় ৭০ থেকে ৮০ কেজি ছানা।
রসগোল্লার মধ্যে এলাচ, বেকিং পাউডার, ডিম ব্যবহার করেন। তৈরি রসগোল্লা একেবারেই নরম। একবার কেউ বানানো রসগোল্লা খেলে আরেকবার তাঁকে খেতেই হবে। প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু হয় রসগোল্লা বানানো। রসগোল্লার পাশাপাশি মজাদার সন্দেশ তৈরি করা হয়, যা অতুলনীয় স্বাদ।
প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ কেজি সন্দেশ এবং ১২০০ থেকে ১৫০০ পিস রসগোল্লা বিক্রি হয়।
কেমন স্বাদ
বিশেষভাবে তৈরি রসগোল্লা অনেক নরম। খেতে খুব সুস্বাদু ও ভুবন ভোলানো স্বাদ। সুস্বাদু এ মিষ্টি গালের মধ্যে দিলেই গলে যাবে।
দরদাম
প্রতি কেজি সন্দেশ ৫৫০ টাকা এবং প্রতি পিস রসগোল্লা ১০ টাকা করে বিক্রি হয়। গোপালগঞ্জ তথা দক্ষিণাঞ্চলের সেরা মিষ্টি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে দত্তের মিষ্টি।