কুতর্ক এড়ানোর ছয় কৌশল
অফিস কিংবা ব্যক্তিগত জীবন, আমরা কখনো না কখনো নেতিবাচক আলোচনা বা কুতর্কে জড়িয়ে পড়ি। অনেক সময় এই তর্ক ভয়ানক আকার ধারণ করে। আর এতে সম্পর্কে বাজে প্রভাব পড়ে; অনেক সময় হয়তো মুখ দেখাদেখিও বন্ধ হয়ে যায়।
তবে নেতিবাচক আলোচনার মোড় কীভাবে ইতিবাচক দিকে নিয়ে আসা যায়, তার কিছু কৌশল জানিয়েছে বিজনেস বিষয়ক ওয়েবসাইট এইচবিআর অ্যাসেন্স।
১. আলোচনাকে পুনরায় সাজান
আলোচনা খুব নেতিবাচক দিকে গেলে একে পুনরায় সাজান। নেতিবাচক এই আলোচনার ব্যাখ্যা একটু অন্যভাবে দিন। যেমন : কেউ যদি আপনাকে বলেন, ‘আমি এই বিষয় নিয়ে যুদ্ধ করতে চাই না।’ এই কথার উত্তরে বলতে পারেন, ‘এটি কেবল একটি বিতর্ক, কোনো যুদ্ধ নয় এবং আমার মনে হয় তুমি খুব ভালো তার্কিক।’
২. ভিন্নভাবে বলা
তাকে আপনার যুক্তিগুলো বোঝান। তবে একটু ভিন্নভাবে এবং নেতিবাচক শব্দ বা বাক্য এড়িয়ে। যেমন : কোনো মিটিংয়ে কেউ হয়তো আপনাকে দোষী করে বলল, ‘আপনি খুব কঠিনভাবে এসেছেন।’ এর উত্তরে বলা যেতে পারে, ‘আমি বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।’
৩. পুরোনো সময়ে ফেরা
তর্ক খুব বাজে দিকে মোড় নিলে অপরপক্ষের সাম্প্রতিক ব্যর্থতা ঢাকতে পুরোনো সফলতার কথাগুলো বলুন। সেই ক্ষেত্রে আপনি বলতে পারেন, ‘এর আগেও আমরা ভালোভাবে কাজ করেছি। এখন এটাকে পরিবর্তন করার প্রয়োজন নেই।’
৪. অনুরোধ করা
আলোচনা নেতিবাচক দিকে গেলে এটি ইতিবাচক দিকে আনার খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি উপায় হলো নিজের জায়গা বা ভাবনাটি পরিষ্কার করে বলা এবং কোনো বিষয়ে দ্বন্দ্ব থাকলে সে ব্যপারে অপরপক্ষকে প্রশ্ন করা। এই ক্ষেত্রে আপনি বলতে পারেন, ‘ দয়া করে একটু পরিষ্কার করে বলবেন, আপনি কী বোঝাতে চাইছেন?’
৫. আলোচনায় ভারসাম্য রাখা
সবসময় আপনিই আপনার শক্তি দেখাতে চাইলে অপরপক্ষ ভাববে আপনি তাকে নিচু করছেন। তাই আলোচনায় ভারসাম্য বজায় রাখুন। এই ক্ষেত্রে বলতে পারেন, ‘আসলে এ ধরনের পরিস্থিতি না হলে আমি সাধারণত ক্ষুব্ধ হই না।’
৬. অপরপক্ষের সমস্যাটিকেও গুরুত্ব দিন
নেতিবাচক আলোচনার ক্ষেত্রে অপরপক্ষের সমস্যাটিকেও গুরুত্ব দিন। এতে সমস্যা অনেকটাই সমাধান হয়ে যাবে। বলতে পারেন, ‘আমি এর সঙ্গে অনেকটাই সহমত। দেখা যাক কীভাবে বিষয়টি ঠিক করা যায়।’