রেসিপি
পটোলের মালাইকারি
সুন্দরভাবে বাঁচার জন্য দরকার সুস্বাস্থ্য। আর সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই প্রয়োজন কিছু সুষম খাদ্য, বেশি বেশি শাকসবজির। অনেকেই সবজি খেতে চাই না, পছন্দ করি না। তবে সবজি দিয়ে মজার মজার রান্না করা যায়। সে রকম একটি রান্না হলো পটোলের মালাইকারি। রান্নাটি একদিকে সুস্বাদু, অন্যদিকে পুষ্টিকর। পোলাও, ভাত ও রুটি দিয়ে খেতে পারেন মজাদার এই রান্না।
যেহেতু পটোলে ক্যালরি অনেক কম, সেহেতু যাঁরা ওজন কমাতে চান, ডায়াবেটিস রোগী তাঁরা এই রান্নাটি অনায়াসে খেতে পারবেন। ২০-৩০ মিনিটের মধ্যে রান্নাটি করতে পারবেন। পরিবারের পাঁচ-ছয়জন এই খাবার খেতে পারবেন। চলুন তাহলে রেসিপিটি দেখে নিই।
এনটিভির ‘টেল প্লাস্টিকস রান্নাঘর’ অনুষ্ঠানে মজাদার ‘পটোলের মালাইকারি’ তৈরির রেসিপিটি দিয়েছেন বিশিষ্ট রন্ধনশিল্পী রাহিমা সুলতানা রিতা এবং অনুষ্ঠানে পুষ্টিতথ্য দিয়েছেন পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান।
যা যা লাগবে পটোলের মালাইকারি বানাতে :
- তেল—পরিমাণমতো
- লবণ—স্বাদমতো
- পটোল—৮-১০টি
- পেঁয়াজ কুচি—তিন টেবিল চামচ
- পেঁয়াজ বাটা—দুই চামচ
- নারকেলের দুধ—এক কাপ
- আদা বাটা—এক চা চামচ
- জিরার গুঁড়া—এক টেবিল চামচ
- গরম মসলার গুঁড়া—দুই টেবিল চামচ
- তেজপাতা—দুটি
- দারুচিনি—তিনটি
- কিশমিশ—১০-১২টি
- গুড়—হাফ কাপ
- পেঁয়াজ বেরেস্তা—তিন টেবিল চামচ
- কাঁচামরিচ—তিনটি
- কাঁচামরিচ বাটা—দুই টেবিল চামচ
যেভাবে পটোলের মালাইকারি রান্না করবেন:
প্রথম ধাপ :
ফ্রাইপ্যানে তেল দিন। অন্য একটি বাটিতে পটোল ও লবণ ভালোভাবে মাখিয়ে নিন। এবার পটোলগুলো ফ্রাইপ্যানে তেলে ছেড়ে ভেজে নিন।
দ্বিতীয় ধাপ :
অন্য একটি ফ্রাইপ্যানে তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি, পেঁয়াজ বাটা, নারকেল দুধ, আদা বাটা, জিরার গুঁড়া, গরম মসলার গুঁড়া, তেজপাতা, দারুচিনি, কিশমিশ ও গুড় দিয়ে কষিয়ে নিন।
সবশেষে :
কষানো হলে পেঁয়াজ বেরেস্তা, শুকনা মরিচ, নারকেলের দুধ এবং কাঁচামরিচ বাটা দিয়ে ঢেকে রান্না করুন। রান্না হয়ে গেলে সাজিয়ে পরিবেশন করুন দারুণ স্বাদের পটোলের মালাইকারি।