সত্যি কাজের গল্প
হৃদয়ের জন্য উষ্ণতা
আজকের সকালের কুয়াশা নিশ্চয়ই চোখে দেখেছেন। কেউ কুয়াশা দেখে ভাবুক হয়েছেন, কেউ বা লেপের কোলে আরো কিছু বেশি সময় ঘুমানোর আয়েশ করেছেন। এই তো আপনার-আমার গল্প। মুদ্রার ওপিঠটা ওল্টান। চোখে পড়বে হৃদয়ের মতো শিশুদের।
গতকাল সন্ধ্যা। অফিস শেষে নীড়ে ফিরছিলাম। ফুটপাতের পাশে দেখা মিলল দু-তিন বছরের এক শিশুর। গায়ে একটা সুতোও নেই এই শীতের মধ্যে। ও হৃদয়।
মায়ের হাত কাটা পড়েছে ট্রেনে। আর বাবা কেটে দিয়েছে সব সম্পর্কের বাঁধন। পথে এসে দাঁড়িয়েছে মাসহ হৃদয়। কিংবা হৃদয়সহ মা। অনুজ সহকর্মী পুলক আর আমার মন একই দুঃখে কাঁদল।
একমুহূর্তও দেরি না করে শীতের পোশাক কিনেছি। দুজন মিলে নিজ হাতে পরিয়ে দিয়েছি সে পোশাক।
লক্ষ হৃদয়ের এক হৃদয়কে তো একটু হলেও সম্পর্কের উষ্ণতা দিতে পেরেছি। তাতে আকাঙ্ক্ষা বেড়েছে আরো। চোখ না কাঁদলেও মন কেঁদেছে মায়ের কোলে থেকেও অভাবের চাবুকে নিষ্পেষিত হৃদয়কে দেখে।
“শীত, তুমি তো আসবেই।
তবে, শুধু গরম কফির মগে কিংবা ভাপা পিঠার ধোঁয়া হয়ে এসো না।
হৃদয়দের কায়ায় একটুখানি উষ্ণতার ছোঁয়া হয়ে এসো।“
লেখক : সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভয়নগর, যশোর। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্পে সংযুক্ত।