আপনার জিজ্ঞাসা
শবেবরাতে হালুয়া-রুটি বিতরণ করা কি নিষেধ?
নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
আপনার জিজ্ঞাসার ৫৮৮তম পর্বে শবেবরাতে হালুয়া-রুটি বিতরণ করা নিষেধ কি না, সে বিষয়ে কুমিল্লা থেকে টেলিফোনে জানতে চেয়েছেন রেজাউল। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া।
প্রশ্ন : আমার বাপ-দাদারা আগে শবেবরাতে হালুয়া-রুটি দিতেন। এটা দেওয়া মানে তো বাড়ির আশপাশের লোকজনকে সাহায্য-সহযোগিতা করা, একটা বন্ধন সৃষ্টি করা। আর বাড়ির আশপাশের লোককে, ফকির-মিসকিনকে দিলে নিজের কাছেও তো একটু ভালো লাগে। কিন্তু, এখনকার হুজুররা বলে যে এসব করা যাবে না। এটা কেন নিষেধ?
উত্তর : হালুয়া-রুটির ব্যাপারটি ইসলাম কতটুকু অনুমোদন করে সেটা আমাদের জানতে হবে, আদৌ এর জন্য কোনো দলিল আছে কিনা। যদি রাসুল (সা.) এর কোনো হাদিস না থাকে তাহলে এমন কাজ মুসলিমগণ কোনোভাবেই করবেন না। এই দিন বা রাতে এই ধরনের কাজ মুসলিমগণ তখনই করবে যখন হাদিসের মাধ্যমে সাব্যস্ত হবে। কারণ, এটা ইমামদের নিজেদের আবিষ্কারের বিষয় নয়।
হ্যাঁ, আগে বাপ-দাদারা এটা করেছেন। তখন তাদের কাছে সুস্পষ্ট কোনো দলিল ছিল না। পরিপূর্ণ কোনো জ্ঞান না থাকার কারণে এইগুলো হয়েছে। এর মানে এই নয় যে, এখন মানুষের কাছে প্রমাণ আছে, তারপরও সংশোধন করবে না? কোনো বিষয় যখন কোনো কারণে ভুল হয় তখনই ওয়াজিব হচ্ছে এটা সংশোধন করে নেওয়া।
আরেকটি বিষয় সেটা আপনি বলেছেন, সেটা হলো সামাজিক বন্ধন। সামাজিক বন্ধন আপনি এক রাতের জন্য মনে করেন নাকি মুসলিম ভ্রাতৃত্ব পুরো বছরের জন্য আমাদের পালন করতে হবে। ইসলামের ভ্রাতৃত্ব হলো সর্বাবস্থায় বিভিন্ন ব্যাপারে সহায়তা করা। রাসুল (সা.) বলেছেন, যখন তোমরা খানা পাক করবে তখন একটু বেশি করে পাকাও যাতে তোমাদের প্রতিবেশীদেরও দিয়ে সাহায্য করতে পারো।