আপনার জিজ্ঞাসা
সফরে রোজার বিধান কী?
নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ।
আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৪৯তম পর্বে সফরে রোজার বিধান কী, সে বিষয়ে সিঙ্গাপুর থেকে মেইলে জানতে চেয়েছেন মেহেদি হাসান। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া।
প্রশ্ন : সফরে রোজার বিধান কী?
উত্তর : মুসাফির ব্যক্তি যদি সফররত অবস্থায় থাকেন, তাহলে তিনি সিয়াম পালন করবেন না। সফর অবস্থায় সিয়াম না করাই উত্তম। সফর থেকে যখন তিনি প্রত্যাবর্তন করবেন, তখন তিনি সিয়াম পালন করবেন।
গুরুত্বপূর্ণ মাসয়ালা হলো, মুসাফির এমন সফরে আছেন যে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত তার সফর শেষ হবে না। যেমন, সে সকল বন্ধুরা জাহাজে আছেন, তারা ছয় থেকে সাত মাস পর্যন্ত সফরে থাকেন, তিনি হয়ত রমজান মাসে সফরে গিয়েছেন, ছয়-সাত মাসের মধ্যে আসবেন না, সিয়াম পালন করার সময় হয়ত তিনি পাবেন না আর যখন দেশে আসবেন অল্প সময়ের জন্য দেশে আসবেন আবার তিনি সফরে চলে যাবেন। অনেক দীর্ঘ সময় পর্যন্ত সফর চলবে তার সফর শেষ হবে না, এই অবস্থায় উত্তম হলো সফররত অবস্থায় তিনি সিয়াম পালন করবেন। এ মাসয়ালা তাঁদের জন্য প্রযোজ্য হবে যাঁরা নিয়মিত সফরে থাকেন। যেমন, পাইলট, জাহাজের ক্যাপটেন, দূরপাল্লার বাসচালক।
সফরের দ্বিতীয় প্রকার হলো, পাঁচ দিন, দশ দিন বা অল্প কিছু সময়ের মধ্যে আপনার সফর শেষ হয়ে যাবে, এই অবস্থায় আপনার জন্য উত্তম হচ্ছে আপনি পরে সিয়ামগুলো পালন করবেন। উত্তম হলো সফররত অবস্থায় আপনি সিয়াম পালন করবেন না। কারণ, সফরের এই কষ্টের মধ্যে সিয়ামের কষ্ট যোগ করে আল্লাহ আপনাকে কষ্ট দিতে চান না।