বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত নিউজিল্যান্ড
ঘরের মাঠে বাংলাদেশ বেশ শক্তিশালী দল। এইতো কদিন আগেই অস্ট্রেলিয়াকে নিজেদের মাঠে নাকানি-চুবানি খাইয়েছে মাহমুদউল্লাহর দল। অসিদের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে ৪-১ ব্যবধানে। অস্ট্রেলিয়ার পর এবার বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জে পরীক্ষা দিবে নিউজিল্যান্ড। অবশ্য ঢাকায় আসার পর নিউজিল্যান্ড তারকা জানিয়ে দিলেন, বাংলাদেশের কন্ডিশনে চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত তাঁরা। আজ বুধবার ভার্চুয়াল সংবাদসম্মেলনে এমনটাই জানালেন, কিউই তারকা হামিশ বেনেট।
টিম হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থেকে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বেনেট বলেন, ‘বাংলাদেশ যখন নিউজিল্যান্ড সফরে যায়, আমরা গতিময় ও বাউন্সি উইকেট রাখি, যা তাদের অস্বস্তিতে ফেলে। আমরা এখানে এলে তারা টার্নিং উইকেট বানায়, যেখানে আমরা অভ্যস্ত নই। আমার তো মনে হয়, এটা দারুণ ব্যাপার। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে যা দেখেছি, ১২০ রানের উইকেট পেয়ে প্রতিটি ব্যাটসম্যানই হয়তো আপত্তি করবে, কিন্তু বোলারদের পরিসংখ্যানের দিক থেকে এটা দারুণ। নিউজিল্যান্ডে গিয়ে বাংলাদেশ সবুজ ও বাউন্সি উইকেট পায়, এখানে তো কিছু তাদের পক্ষে থাকবেই। আমরা সেই চ্যালেঞ্জের দিকে তাকিয়ে আছি।’
বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জিততে পারলে কতটা ভালো লাগবে সেটা জানিয়ে কিউই তারকা বলেন, ‘আমাদের ভালো লাগবে, যদি নিউজিল্যান্ডে ফিরে গিয়ে বলতে পারি, আমরা বাংলাদেশে সিরিজ জিতে এসেছি। আপনারা দেখেছেনই, এখানে অস্ট্রেলিয়ার কী অবস্থা হয়েছে এবং অন্য দলগুলি কতটা ধুঁকেছে।’
নিজেদের প্রস্তুতি নিয়ে অতিথি তারকা বলেন, ‘লিঙ্কনে অনেক ব্যবহারে জীর্ণ উইকেটে খেলে প্রস্তুতি নিয়েছি আমরা, যা দারুণ প্রস্তুতি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওদের সিরিজটাও খুব ভালো হয়েছে আমাদের জন্য, আমরা জানতে পেরেছি, বাংলাদেশ কোন পথে এগোবে। তবে এসব জানা এক ব্যাপার, এই কন্ডিশনে খেলা অন্য ব্যাপার। সিরিজ শুরুর আগে চার-পাঁচদিন ট্রেনিং করতে পারব আমরা। সেখানেই আশা করি বুঝতে পারব, আমাদের পরিকল্পনা এখানকার উইকেটে কতটা কাজে দেবে।’
বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে ১ সেপ্টেম্বর। পরের চারটি ম্যাচ হবে যথাক্রামে ৩, ৫, ৮ ও ১০ সেপ্টেম্বর। সবগুলো ম্যাচই হবে দিবারাত্রির। ম্যাচগুলো হবে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। ম্যাচগুলো শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায়।
অস্ট্রেলিয়ার মতো এই সিরিজেও থাকবে কড়া নিরাপত্তা। জৈব-সুরক্ষা বলয়ের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে সবগুলো ম্যাচ। দুই দলের টিম মেম্বারসহ সব সদস্যেরা রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে কঠোর সুরক্ষা বলয়ে থাকছেন।