এই জয় মাহমুদউল্লাহর সেই জয়!
নিদাহাস ট্রফির আগের ম্যাচটা কিংবা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে মাহমুদউল্লাহর দিকে একবার তাকানোর সময় হয়েছিল কি কারো? দেখলে বুঝতেন, একটা জয়ের জন্য দলনায়কের শরীরী ভাষায় ছিল আকুল আবেদন। ত্রিদেশীয় সিরিজে লঙ্কার মাঠে পৌঁছেও বলেছিলেন একই কথা। একটা জয় চাই তাঁর, একটা জয়ে বদলে যাবে সময়। শেষমেশ জয়টা পেলেন অধিনায়কত্বের ভারে ‘ভারপ্রাপ্ত’ বাংলাদেশ দলপতি।
জয়টা যখন এলো, এলো একদম রেকর্ড গড়েই। যে দল এর আগে কখনো টি-টোয়েন্টিতে পার করেনি দুইশর ঘর, তারা জিতল ২১৫ রানে তাড়া করেই! এমন এক জয়ের খোঁজেই তো ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। বিধ্বস্ত, পড়তি একটা দলকে যে জয়টা আবার ফিরিয়ে দেবে আত্মবিশ্বাসটা। শ্বাস আটকে দেওয়া এমন জয়ের পর সৌম্য-লিটনদের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে না চড়লে, চড়বে আর কী সে?
প্রেমাদাসায় মুশফিকুর রহিম বীরত্বে দুই বল হাতে রেখেই স্বাগতিকদের রান পাহাড় টপকে যায় বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে তামিম ইকবাল জানালেন অন্য কথা। শুধু অধিনায়কই নন, দলের সবার তীব্র চাওয়া ছিল এমন এক জয়ের।
অনবদ্য এক ম্যাচ জিতে বাংলাদেশের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান বলছেন, ‘আমরা খুব করে একটা জয় চাইছিলাম। কোচিং স্টাফদের কথা বলেন, ম্যানেজমেন্ট কিংবা আমরা ক্রিকেটাররা, সবাই ভালো করতে চাইছিলাম। একটা ম্যাচ জিততে চাচ্ছিলাম সবাই। যেভাবেই হোক ম্যাচটা যেন জেতা চায়, সে জন্য সবাই তাদের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করেছে। এটা বাড়তি কিছু ছিল, ছিল বিশেষ কিছু।’
হারের বলয়টা ভীষণ করে ঘিরে ধরেছিল বাংলাদেশকে। তাই একটা জয়ের দরকার ছিল ভীষণ। ঘরের মাঠের ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে শুরু করে মোট ছয় ম্যাচ পর টাইগাররা পেল সেই জয়। আকাঙ্ক্ষিত জয়টা তো পাওয়া গেল। এবার সে জয়কে পুঁজি করে না হয় আরেকবার শুরু করা যাক সাফল্যের আকাশে ওড়াউড়ি।