ড্রয়ের পথে বিসিএলের দুই ম্যাচই
বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) চতুর্থ রাউন্ডের তৃতীয় দিন শেষে দুটি ম্যাচই এগোচ্ছে ড্রয়ের পথে। খুব অলৌকিক কিছু না ঘটলে শেষ দিনে দলগুলো মাঠ ছাড়তে পারে সমতা নিয়েই। আজ বৃহস্পতিবার ম্যাড়ম্যাড়ে দিনে শতক হাঁকিয়ে যা একটু উত্তেজনা ছড়িয়েছেন তারকা ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম।
বগুড়ায় অবশ্য ম্যাচে ফলোঅন না এড়িয়েও ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে ড্রয়ের সুবাস পাচ্ছে বিসিবি উত্তরাঞ্চল। দিন শেষে তাদের সংগ্রহ সাত উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রান। ফলোঅন এড়াতে এখনো প্রয়োজন ৪৩ রান।
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিনের শুরুটা অবশ্য উত্তরাঞ্চলের পক্ষে ছিল না। মধ্যাঞ্চলের রানের পাহাড়ের নিচে চাপা পড়ে দ্রুত পাঁচ উইকেট হারিয়ে বসে উত্তরাঞ্চল। লেজের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে এরপর শুরু হয় মুশফিকুর রহিমের লড়াই। সপ্তম উইকেটে আরিফুল হককে নিয়ে গড়েছেন ৮৩ রানের জুটি।
এরপর নবম উইকেটে তাইজুল ইসলামকে নিয়ে ৭০ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটিতে শেষ করেছেন দিনের খেলা। দিন শেষে দল পেছনে থাকলেও অষ্টম প্রথম শ্রেণির সেঞ্চুরিতে স্বভাবতই উজ্জ্বল সাবেক টেস্ট অধিনায়ক। ১৯৯ বল খেলে অপরাজিত আছেন ১০১ রানে। মধ্যাঞ্চল পেসার এবাদত হোসেন নিয়েছেন তিন উইকেট।
সিলেটের মাঠে নিরুত্তাপ ম্যাচে ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চলের বিপক্ষে এগিয়ে থেকেও সমতাতেই ম্যাচ শেষ করতে হচ্ছে প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চলকে। পূর্বাঞ্চলকে ৩০০ রানে গুটিয়ে দেওয়া দক্ষিণাঞ্চল দিন শেষ করেছে তিন উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান।
প্রথম ইনিংসে শতক হাঁকানো তুষার ইমরান হাঁটছেন আবারও বড় সংগ্রহের দিকেই। ৬৭ বলে অপরাজিত আছেন ৪৬ রানে। জাতীয় দলের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার জুটি গড়েছেন তাঁর সঙ্গে। ৬৩ রানের জুটির সাথে সৌম্যর সংগ্রহ ৩৯ বলে হার-না-মানা ৩৯ রান।
এর আগে আগের দিনে অর্ধশতক হাঁকান লিটন দাস যেতে পারেননি খুব বেশি দূর। ৭৫ রানেই ফিরেছেন তিনি। মাত্র ৩১ রানেই দ্রুত চার মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান আর দিনের শুরুতেই তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বিপর্যস্ত পূর্বাঞ্চলের ত্রাতা হয়েছিলেন উইকেটরক্ষক জাকের আলী ও অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
১১৬ রানের জুটিতে দলকে এনে দেন ৩০০ রানের ভিত। ১৫৪ বলে ৭৬ রান করে ফিরে যান জাকের। সাইফউদ্দিন অবশ্য রয়ে গেছেন অপরাজিতই। ১৪৬ বলে ৭৫ রানে হার-না-মেনেই মাঠ ছেড়েছেন এই ডানহাতি অলরাউন্ডার। দক্ষিণাঞ্চলের পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি তুলে নিয়েছিলেন চার উইকেট।