টেস্টের মঞ্চে স্বাগত আয়ারল্যান্ড!
আয়ারল্যান্ডের সামনে ইতিহাস হাতছানি দিচ্ছে। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই টেস্ট ফরম্যাটে ১১তম দেশ হিসেবে অভিষেক হতে যাচ্ছে আইরিশ পুরুষদের। অবশ্য এর আগে ২০০০ সালে আইরিশ প্রমীলা দল টেস্টে মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তানেরই। ওই ম্যাচে ঐতিহাসিক জয়ও ছিনিয়ে নিয়েছিল তারা। তবে এবার পুরুষদের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে আজকের দিনটি। আজ পাকিস্তানের বিপক্ষেই মাঠে নামছে আইরিশরা। গত বছরের জুনে আফগানিস্তানের সঙ্গে আয়ারল্যান্ড পূর্ণ টেস্ট সদস্যের স্বীকৃতি পেয়েছে। স্বীকৃতি পাওয়ার প্রায় এক বছর পর টেস্ট খেলতে নামছে তাঁরা।
আইরিশদের ক্রিকেটকে এই সেরা দিনের দেখা পাইয়ে দিতে কয়েকজনের অবদান অনস্বীকার্য। আইরিশ অধিনায়ক উইল পোর্টারফিল্ড, পেসার বোয়ড রানকিন, ও’ব্রিয়েন ভ্রাতৃদ্বয় নেইল ও কেভিন—যাঁরা আয়ারল্যান্ডের ক্রিকেট উত্থানে রেখেছেন অসামান্য অবদান।
তবে আলাদা করে বলতে হবে আরো একজনের কথা। তিনি এড জয়েস। আয়ারল্যান্ডের জার্সিতে টেস্টের মঞ্চে লড়ার জন্য এই ব্যাটসম্যান গুনছিলেন প্রতীক্ষার প্রহর। ইংল্যান্ডের হয়েও মাঠে নামা জয়েস যখন মাঠে নামছেন আইরিশদের প্রথম টেস্টে, সঙ্গে গড়ে ফেলছেন আরেকটা রেকর্ডটা। তাঁর মতো এত বয়সে (৩৯ বছর) যে কেউ নামেনি অভিষেক টেস্টে!
টেস্ট র্যাংকিংয়ের ৭ নম্বরে আছে পাকিস্তান। আয়ারল্যান্ডের প্রতিপক্ষ তাঁরাই। যদিও এই দলকেই ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে হারিয়ে বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছিল আইরিশরা। অতীতের এই সুখস্মৃতি আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে পোর্টারফিল্ড বাহিনীকে। অন্যদিকে, পাকিস্তানও মাঠে নামাচ্ছে নবীন একটি দলকে। পাঁচজন নতুন পাক সদস্যের অভিষেক হবে এই টেস্টের মাধ্যমে। তাই স্বাভাবিকভাবে সবদিক বিবেচনা করে জয়ের আশা করতেই পারে আইরিশরা। তবে অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ জেতা যে সহজ হবে না, সেটাও ভুলে যায়নি পোর্টারফিল্ডরা।
তবে জয়-পরাজয় যা-ই হোক না কেন, আইরিশ শিবির স্বভাবতই উৎফুল্ল প্রথমবারের মতো ক্রিকেটের এই ধৈর্যের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পেরে। এখান থেকেই শুরু করতে চায় তারা। জয়-পরাজয় নিয়েই টেস্টের লম্বা পথে হাঁটার কাজটা শুরু করতে চায় তাঁরা আজই।