এবারের বিশ্বকাপে অনন্য কীর্তি গড়তে যাচ্ছেন যিনি
সবচেয়ে বেশিবার বিশ্বকাপের ময়দানে নামার রেকর্ডে নাম লেখা আছে দুজনের। এবার সে তালিকায় তৃতীয় ফুটবলার হিসেবে নাম তুলতে যাচ্ছেন মেক্সিকোর রাফায়েল মার্কেজ। ২০১৮ বিশ্বকাপে যদি মাঠে নামার সুযোগ হয় এই মেক্সিকান মিডফিল্ডারের, তবে তিনিও ঢুকে যাবেন সবচেয়ে বেশিবার বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ‘ক্লাবে’।
জার্মান কিংবদন্তি লোথার ম্যাথুস ও মার্কেজেরই দেশের গোলরক্ষক আন্তোনিও কারভালহো এর আগে মাঠে নেমেছিলেন পাঁচটি বিশ্বকাপে। এত দিন ধরে সেটাই ছিল সর্বাধিক বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার রেকর্ড। আসছে রাশিয়া বিশ্বকাপে মেক্সিকোর হয়ে মাঠে পা রাখতে পারলেই মার্কেজ ঢুকে যাবেন ইতিহাসের পাতায়।
বিশ্বকাপে মার্কেজের শুরুটা হয়েছিল ২০০২ সালের জাপান বিশ্বকাপ দিয়ে। এরপর টানা খেলেছেন ২০০৬, ২০১০ ও ২০১৪ বিশ্বকাপে। সোমবার রাশিয়া বিশ্বকাপের জন্য মেক্সিকোর ঘোষিত ২৮ সদস্যের প্রাথমিক দলেও রয়েছেন সাবেক এই বার্সেলোনা তারকা।
অবশ্য যদি মূল স্কোয়াডে জায়গা পেয়েও যান সাবেক এই মেক্সিকান অধিনায়ক, তার পরও তাঁকে অপেক্ষায় থাকতে হবে মাঠে নামার। কেননা, কদিন আগেই অবসরে চলে যাওয়া ইতালির বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি বুফনও ছিলেন পাঁচ বিশ্বকাপের স্কোয়াডে। ২০০২, ২০০৬, ২০১০ ও ২০১৪ সালে মাঠে নামলেও ১৯৯৮ সালে বসে থাকতে হয়েছিল ডাগআউটেই।
সদ্যই ‘সাবেক’ হয়ে যাওয়া ইতালির এই অধিনায়ক যদি নামতে পারতেন এই বিশ্বকাপে, তবে তিনিও থাকতে পারতেন সবচেয়ে বেশি বিশ্বকাপ মাতানোর ছোট্ট তালিকায়। কিন্তু বিধি বাম, বুফনের দল ইতালি যে পার করতে পারেনি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বটাই! তাই ক্যারিয়ারের শেষলগ্নে এসে রাশিয়ার বিশ্বকাপটা ৪০ বছর বয়সী গোলরক্ষককে দেখতে হচ্ছে টিভিতেই।
বুফনের সুযোগ না মিললেও মার্কেজকে ঠিকই হাতছানি দিয়ে ডাকছে রেকর্ডটা। ৩৯ বছর বয়সী এই ফুটবলারও যে সে সুযোগ লুফে নিতে চাইবেন শেষবারের মতো, তেমনটার প্রমাণ তো দিয়েছেন দলের জায়গা করে নিয়েই। মাদক পাচারের অপবাদ নিয়ে মাঠের বাইরে তিন মাস বসে থাকার পরও মার্কেজ যে আবারও ফিরেছেন সবাইকে চমকে দিয়েই!