সাকিবের পূর্বপরিচিত রোডস!
সাবেক ইংলিশ ক্রিকেটার স্টিভ রোডসের বাংলাদেশ দলের কোচ হওয়ার একটা সম্ভাবনা জেগে উঠেছে। দলের সবার জন্য একদম নতুন নাম হলেও তিনি কিন্তু ভীষণ চেনা একজনের কাছে। বর্তমান জাতীয় দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান কিন্তু খুব কাছ থেকে দেখেছেন রোডসকে।
২০০৯ সালের শুরুতেই সাকিব পৌঁছে গিয়েছিলেন টেস্ট অলরাউন্ড র্যাংকিংয়ের শীর্ষে। সে বছরই বাঁহাতি অলরাউন্ডারের গায়ে লেগেছিল অধিনায়কত্বের আনকোরা গন্ধ। শুরু আর মাঝের সময়টাকে পূর্ণতা দিয়ে বছরের শেষটা সাকিব রাঙিয়েছিলেন প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে কাউন্টি ক্রিকেটে নাম লিখিয়ে।
ওরচেস্টারশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবটার পরিচালক হিসেবে তখন ছিলেন ক্লাবটিরই সাবেক ক্রিকেটার রোডস। একদম বছরের সূচনা থেকেই দেখেছেন সাকিবের প্রতিদিন নিজেকে ছাড়িয়ে গিয়ে সেরা অলরাউন্ডার হওয়া।
মাশরাফি বিন মুর্তজার হঠাৎ চোটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একদমই নতুন এক তরুণ অলরাউন্ডারের সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার ব্যাপারটাও চোখ এড়ায়নি রোডসের।
একা হাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দ্বিতীয় টেস্টে পরাজিত করে প্রথমবার সাকিবের হাত ধরে বিদেশের মাটিতে কোনো দলকে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। তা দেখেছিলেন সাবেক এই ইংলিশ উইকেটরক্ষক।
ক্যারিবীয় সেই সফরে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে মোট ১৩ উইকেট ঝুলিতে পুরে সিরিজসেরার পুরস্কারটাও জিতেছিলেন সাকিব।
তাই ২০০৯ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ককে নিজের দলে টেনে এনেছিলেন এই রোডস। বাংলাদেশ অলরাউন্ডারকে নিজের দলে ভেড়াতে পেরে যে দারুণ উচ্ছ্বসিত ছিলেন ক্লাবটির ক্রিকেট পরিচালক, এক সাক্ষাৎকারেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন।
ক্রিকইনফোকে রোডস বলেছিলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরেই সাকিবকে আমি চোখে চোখে রেখেছি এবং সে যে দারুণ একজন ক্রিকেটার, সেটাও বুঝেছি। তাঁর বর্তমান আইসিসি র্যাংকিংও (অলরাউন্ড র্যাংকিংয়ের শীর্ষস্থান) সেটার প্রমাণই দিচ্ছে। আমি জানি সে সাফল্য পেতে ভীষণ আগ্রহী। তাঁর অলরাউন্ড নৈপুণ্য মৌসুমের শেষে আমাদের জন্য ভীষণ কাজে দেবে।’
রোডস যদি কোচ হয়ে আসেনই, সে ক্ষেত্রে সাকিবের অবদান থাকলে কিন্তু অবাক হওয়ার কিছু নেই। অবশ্য বাংলাদেশ অধিনায়কের চেয়েও রোডসকে বেছে নেওয়ার কৃতিত্ব বেশি চাপবে সাবেক ভারতীয় কোচ গ্যারি কারস্টেনের কাঁধে।
প্রায় আট মাস কোচবিহীন বাংলাদেশ দল, অথচ কারস্টেনের পরামর্শের আওতায় এসে মাত্র দিন পনেরোর মধ্যেই দাঁড়িয়ে গেল নতুন ‘গুরু’ পাওয়ার সম্ভাবনার সামনে। দলের প্রধান কোচ নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে যে বিসিবির পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন এই সাবেক প্রোটিয়া কোচই!