নিন্দার পিঠে প্রশংসা, এক কথায় নেইমার
গতকাল শুক্রবারের ম্যাচটা যেন নেইমার ডি সিলভার পুরো ক্যারিয়ারেরই প্রতিচ্ছবি। অনেক নিন্দা, সমালোচনার সঙ্গে অজস্র মানুষের ভালোবাসা। এই তো নেইমারের জীবন।
কোস্টারিকার বিপক্ষে পুরো মাঠ দৌড়েছেন। গোলের বেশ কয়েকটা সুযোগও তৈরি করেছিলেন। তবে আটকে গেছেন কেইলর নাভাসের কাছে, মাঝে মাঝে শট হয়েছে লক্ষ্যভ্রষ্ট।
আর সে কারণেই কি না নেইমার ভাবলেন একটু অন্যরকম করেই। চেষ্টা করেও যখন হচ্ছে না, দলকে জেতানো যাক একটু ছল-ছাতুরি করেই! কথায়ই তো আছে, ‘যুদ্ধ ও ভালোবাসায় সব কিছু চলে’।
কোস্টারিকার বিপক্ষে সেন্ট পিটার্সবার্গে তো ব্রাজিলের যুদ্ধই চলছিল।দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার যুদ্ধ! এ ম্যাচ হারলে ভস্ম হয়ে যেত সব। আর সেই চিন্তা থেকেই কি না নেইমার পড়ে গেলেন নাভাসদের ডি-বক্সেই!
রেফারি অমনভাবে পড়তে দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজালেও বেরসিক ভিএআর ফাঁস করে দিয়েছে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের অসাধারণ ‘অভিনয়’। এভাবে ধরা পড়ে যাওয়াটা মেনে নিতে পারেননি নেইমার। প্যারিস সেইন্ট জার্মানি (পিএসজি) তারকা জড়িয়েছিলেন রেফারির সঙ্গে তর্কে। ফল অবশ্য ভালো হয়নি। দেখেছেন হলুদ কার্ড।
পুরো ম্যাচজুড়েই অসংখ্যবার পড়েছেন নেইমার, সঙ্গে অমন কাঁচা অভিনয়। স্বভাবতই বিরক্ত দর্শকরা। খোদ ব্রাজিলিয়ানরাই খেপেছেন তাঁদের তারকার ওপর। টুইটারে ভক্তরা এমনও বলেছেন যে যদি নেইমারের এমন অভিনয়ই ফুটবলের ভবিষ্যৎ হয় তবে খেলা দেখাই ছেড়ে দেবেন। অনেকে করেছেন ব্যঙ্গ।
ম্যাচের ইনজুরি টাইম গড়িয়ে চলছে সপ্তম মিনিটের খেলা। গ্যাব্রিয়েল হেসুসের কাছ থেকে বলটা পেয়ে ঠেললেন জালে। রাশিয়ার মাঠে এবারের বিশ্বকাপে নেইমার করলেন নিজের প্রথম গোলটা। একটু পরেই রেফারি বাঁশি বাজিয়ে ঘোষণা করলেন ম্যাচের সমাপ্তি।
আবেগের স্রোতে বাঁধটা দিতে পারেননি নেইমার। কেঁদেছিলেন মাঠে বসেই। মুখ ঢেকে, জার্সি চাপা দিয়ে। নিজেকে এমন এক চরিত্র বানিয়ে নিয়েছেন যে, এই কান্নাটুকুও হয়েছে আলোচনার খোরাক। কেউ প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন, কেউবা তিরস্কারে।