শুভ জন্মদিন, মেসি
১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপেই শেষ ট্রফি উঁচিয়ে ধরার স্বাদ পেয়েছে আর্জেন্টিনা। এরপর কেটে গেছে সাতটি আসর। নাহ! শিরোপা ঘরে ওঠেনি আর্জেন্টাইনদের। দেশটির আফসোস, তাদের যে একজন ডিয়েগো ম্যারাডোনা নেই। ম্যারাডোনা যুগের পর অনেক তারকার মাঝেই এই কিংবদন্তির ছায়া খুঁজতে চেয়েছে আর্জেন্টাইনরা।
শুধু ব্যতিক্রম আন্দ্রেস লিওনেল মেসি। এই মানুষটি আপন প্রতিভায় এতটাই উজ্জ্বল যে নতুন ম্যারাডোনা নয়, বরং অনেকে ম্যারাডোনার চেয়েও এগিয়ে রাখেন এই তারকাকে। আজ এই তারকার ৩১তম জন্মদিন। শুভ জন্মদিন, মেসি।
১৯৮৭ সালের ২৪ জুন রোজারিওতে জন্মগ্রহণ করেন মেসি। ফুটবলের সঙ্গে ছোটবেলা থেকেই সখ্য গড়ে ওঠা মেসি মাত্র চার বছর বয়সেই স্থানীয় এক ক্লাবে যোগ দেন। মাত্র ছয় বছর বয়সে গায়ে চাপান নিজের প্রিয় ক্লাব নিউ ওয়েলস ওল্ড বয়েজের জার্সি। ফুটবলের দুরন্ত পথচলা মূলত তখন থেকেই শুরু।
তবে এই পথচলাটা মসৃণ ছিল না। ১৪ বছর বয়সে হরমোন চিকিৎসা নিতে হয় এই তারকার। চিকিৎসা শেষে তিনি বার্সেলোনার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। সেই থেকে ক্লাবটির সঙ্গেই জুড়ে আছেন।
মেসি ক্যারিয়ারে চারটি ইউরোপিয়ান কাপ, আটটি লিগ টাইটেল, তিনটি ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপ, পাঁচটি ব্যালন ডি'অর জিতেছেন।
কিছু খেলোয়াড় থাকে, যাঁদের পরিসংখ্যান দিয়ে বুঝতে যাওয়াটা বোকামির নামান্তর। মেসি তেমনই একজন। দেশের হয়ে তাঁর নেই বড় কোনো অর্জন। তাই বলে কি তিনি মাঠে ব্যর্থ? কিংবা বার্সেলোনার এই তারকার পাঁচটি ব্যালন ডি’অর দিয়ে কি বোঝা যাবে মাঠে তিনি কতটা মনোমুগ্ধকর? মেসিকে বুঝতে হলে কোনো শব্দ খরচ করাটা বোকামি। তাকে বুঝতে হলে দেখতে হবে তাঁর চোখ ধাঁধানো খেলা। পুরো মাঠকে ক্যানভাস বানিয়ে তাঁর পায়ের আঁকিবুঁকি দেখতে হবে স্বচক্ষে। তবেই না বোঝা যাবে মেসিকে।
বার্সেলোনা ক্লাবের হয়তো মেসির কাছে আর কিছু চাওয়ার নেই। স্প্যানিশ ক্লাবটিকে যে মেসি পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন। কিন্তু দেশের মানুষের মেসির কাছে একটি শিরোপা দাবি। মেসির নিজেরও স্বপ্ন আকাশি-সাদা জার্সি গায়ে চাপিয়ে শিরোপা উঁচিয়ে ধরার। বিশ্বের অন্যতম সেরা এই তারকা অধরা স্বাদ পূর্ণ হোক, জন্মদিনে এটাই কামনা।