স্ট্রাইকার দাঁড়াবেন গোল বারের নিচে, আগলে রাখবেন গোলপোস্ট। তাও আবার হয় নাকি? অবশ্য তিউনিসিয়ার দুর্ভাগ্য আরো খারাপের দিকে গেলে তেমনটাই দেখা যেতে পারে এবারের রাশিয়া বিশ্বকাপের ‘জি’ গ্রুপের ম্যাচে। 

এবারের বিশ্বকাপে গ্রুপ ‘জি’ থেকে এক ম্যাচ হাতে রেখেই শেষ ষোলোর টিকেট  পেয়েছে বেলজিয়াম ও ইংল্যান্ড। তাই গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ পানামা ও তিউনিসিয়ার জন্য নিয়ম রক্ষার ম্যাচ। তবে নিয়ম রক্ষার ম্যাচ হলেও এই ম্যাচ জয় করে দুদলই চাইবে বিশ্বকাপ থেকে অন্তত একটা জয় নিয়ে দেশে ফিরে যেতে।

তিউনিসিয়ার জন্য বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে গোলকিপার সংকট। স্কোয়াডের তিনজন গোলকিপারের মধ্যে দলের দুজনই ইনজুরির কারণে পানামার বিপক্ষে ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছেন। বাকি আছেন তৃতীয় গোলরক্ষক আয়মেন মাতলৌদি। তিউনিসিয়ার এই গোলরক্ষকও যদি কোনো কারণে খেলতে না পারেন, তবে গোলপোস্ট রক্ষা করার জন্য তাঁদের ভরসা করতে হবে স্ট্রাইকার ফকরুদ্দিন বিন ইউসুফের ওপর।

যদিও দলটির পক্ষ থেকে বদলি গোলরক্ষকের জন্য ফিফার কাছে আবেদন করা হয়। তবে তাদের আবেদন নাকচ করে দিয়ে ফিফা জানায়, খেলা শুরুর ২৪ ঘণ্টা আগে বদলি খেলোয়াড়ের জন্য আবেদন করতে হবে। আবেদন অগ্রাহ্য হওয়ায় স্কোয়াডে থাকা খেলোয়াড় দিয়েই খেলা চালিয়ে নিতে হবে তিউনিসিয়াকে।

উল্লেখ্য, তিউনিসিয়ার প্রথম পছন্দের গোলকিপার মোউয়েজ হাসেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপের প্রথম ম্যাচের ১৬ মিনিট পরই কাঁধের ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন। দ্বিতীয় গোলকিপার ফারুক বিন মুস্তফা দ্বিতীয় ম্যাচের পর অনুশীলন করতে গিয়ে হাঁটুর ইনজুরিতে পড়েন।