আনন্দ-উল্লাসে ভাসছে ক্রোয়েশিয়া
১৯৯৮ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলতে এসেই চমক দেখিয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। উঠেছিল সেমিফাইনালে। এরপর টানা তিনটি বিশ্বকাপে হতাশ করেছে তারা। দুবার গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে, আর একবার তো মূল পর্বে খেলার সুযোগই পায়নি। দীর্ঘদিন পর আবার তারা বিশ্বকাপে খেলতে গিয়েছে সোনালি প্রজন্ম নিয়ে। গ্রুপ পর্বে তার প্রমাণও দিয়েছিল আর্জেন্টিনার মতো দলকে তিন গোলে হারিয়ে। সব বাধা পেরিয়ে এবার রাকিটিচ-মড্রিচরা জায়গা করে নিয়েছেন ফাইনালের আসরে। দলের এমন সাফল্যে বেশ উৎফুল্ল ক্রোয়েটবাসী। ফাইনালের মঞ্চে পৌঁছে তারা শিরোপা ঘরে তোলারও স্বপ্ন দেখছে।
বিশ্বকাপে আসার আগে কে ভেবেছিল, এই ক্রোয়েশিয়া পৌঁছে যাবে ফাইনাল লড়াইয়ের মঞ্চে! বিশ্বকাপের বাছাইপর্বও পেরোতে পারেনি দলটি। প্লে-অফে গ্রিসের বিপক্ষে জিতে তারা নিশ্চিত করে রাশিয়া বিশ্বকাপের টিকেট। কিন্তু মূলমঞ্চে দাপটের সঙ্গে একের পর এক ম্যাচ জিতে এখন তারা ফাইরালে।
গতকাল সেমিফাইনালের ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারানোর পর ক্রোয়েশিয়াবাসী মেতে ওঠে উৎসবে। একজন ক্রোয়াটবাসী উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘যদি আমরা ফাইনালে জিতে যাই, তবে আমি ঝরনার পানিতে লাফালাফি করব।’
ক্রোয়েশিয়ার জার্সি পরা একজন মেয়ে সমর্থক ম্যাচের পর চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘ইংল্যান্ড বাড়ি ফিরে যাচ্ছে, আর আমরা ফাইনালে যাচ্ছি। আমাদের দেশটা ছোট, কিন্তু আমরা ফুটবল খেলতে পারি।’
মার্কো নামের একজন ক্রোয়েশিয়ার নাগরিক কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমরা কেউ ভাবিনি, জয়টা শেষ পর্যন্ত আমাদেরই হবে। সারা সপ্তাহ ইংলিশ মিডিয়া আমাদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে গেছে। তারা বলেছে, আমাদের সুযোগ নেই ম্যাচ জেতার। কিন্তু মাঠে ছেলেরা সেরাটা দেখিয়ে জয় তুলে নিয়েছে।’