ইমরান খানের সাফল্যে উচ্ছ্বাস বন্ধু জাভেদ মিয়াঁদাদের
খেলার মাঠে তিনি ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। দেশকে এনে দিয়েছিলেন বহু সাফল্য। তিনি পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান। এবার রাজনীতির মাঠেও ছক্কা হাঁকালেন এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার। পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের সর্বশেষ ফলের হিসাবে এগিয়ে আছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। তাই আগামী সরকার গঠন করতে যাচ্ছে তাঁর দল, সেটা বলাই যায়। আর ইমরান খানও হতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।
ইমরান খানের এই সাফল্যে বন্ধু-শুভানুধ্যায়ীরা শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি। জাতীয় দলের সতীর্থ জাভেদ মিয়াঁদাদ তো বিশ্বাসই করতে পারছেন না, প্রিয় বন্ধু এমন জয় পাবেন। বন্ধুর এমন সাফল্যে দারুণ খুশি তিনি।
অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে দীর্ঘ ২২ বছর পর ইমরান খানের দল ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছে। তাই উচ্ছ্বসিত বন্ধু জাভেদ মিয়াঁদাদ বলেন, 'আজকের এই খুশি শুধু আমার একার নয়, পুরো পাকিস্তানের জন্য আনন্দের। আমাদের প্রিয় বন্ধু, নেতা দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। আমি কাছ থেকে দেখেছিলাম সে কীভাবে ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপ জেতানোর স্বপ্ন দেখিয়েছিল, তারপর বিশ্বকাপ জিতিয়ে ইতিহাস গড়েছে। আসলে তাঁর মতো নেতার পক্ষেই সম্ভব এমন কিছু করা।'
ক্রিকেট দলকে যেভাবে সাফল্য এনে দিয়েছিলেন ইমরান খান, এবার পাকিস্তানকেও নতুনভাবে গড়ে তুলবে বলে বিশ্বাস জাভেদ মিয়াঁদাদের, 'ইমরানের মধ্যে লড়াই করার যে দারুণ ক্ষমতা রয়েছে, আমার চেয়ে ভালো কে জানে। এবার ওর (ইমরান) হাতে ধরেই দেশে গণতন্ত্র ফিরবে বলে আমার বিশ্বাস। ১৯৯২ সালে যেভাবে দেশকে চ্যাম্পিয়ন করেছিল, পাকিস্তানকে ঠিক সেভাবে নতুন করে গড়ে তুলবে বলে আমার বিশ্বাস।'
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও টিভির খবরে বলা হয়, নির্বাচনের প্রাথমিক ফল অনুযায়ী এগিয়ে আছে পিটিআই। তারা পেয়েছে ১১৭টি আসন। পিএমএল-এন পেয়েছে ৬০টি। পিপিপি জিতেছে ৪০টি আসন।
গত বুধবার পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়। দেশটির জাতীয় পরিষদে ৩৪২টি আসনের মধ্যে ২৭২টিতে নির্বাচন হয়। কোনো দলকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে জিততে হবে ১৩৭ আসন।