ওজিলের 'বর্ণবৈষম্যে'র অভিযোগ সত্য নয়, দাবি সতীর্থের!
এই কদিন আগে 'বর্ণবৈষম্যে'র অভিযোগে এনে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নিয়েছেন জার্মান মিডফিল্ডার মেসুত ওজিল। রাগে-ক্ষোভে নেওয়া তাঁর এই অবসর সারা বিশ্বেই আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। অবশ্য এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তাঁরই সতীর্থ ম্যানুয়েল নয়্যার।
জার্মান গোলরক্ষক নয়্যার গতকাল শুক্রবার ওজিলের অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, ‘সব সময়ই আমাদের চেষ্টা থাকে ফুটবলারদের ঐক্যবদ্ধ রাখা। সতীর্থদের ভালো থাকা এবং আনন্দে থাকাটা আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফেডারেশন এ ব্যাপারে খুবই সতর্ক। তাই আমি মনে করি, জাতীয় দলে কোনো বর্ণবিদ্বেষ নেই।’
কদিন আগে প্রায় একই রকম বিবৃতিতে দিয়েছিল জার্মান ফুটবল ফেডারেশন। সংস্থাটি জানিয়েছিল, ‘বর্ণবৈষম্যের যে অভিযোগ করেছেন ওজিল, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমরা কখনই এ বিষয়টিকে প্রশ্রয় দিই না। তারপরও সে যদি মনে করে বর্ণবিদ্বেষ করা হয়েছে, তা সত্যিই দুঃখজনক।’
গত মে মাসে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ইংল্যান্ড সফরে গিয়েছিলেন। সে সময় তাঁর সঙ্গে তুর্কি বংশোদ্ভূত জার্মানির দুই খেলোয়াড় ওজিল ও গুন্ডোগান দেখা করেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে আর্সেনালের জার্সিও উপহার দিয়েছিলেন তিনি।
আর এ কারণে জার্মানিতে তীব্র সমালোচনার শিকার হন ওজিল। কারণ, তুরস্কের সঙ্গে জার্মানির কূটনৈতিক সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। তাই জার্মানির খেলোয়াড় হয়েও তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করা তাঁদের ঠিক হয়নি।
কড়া সমালোচনা শুনেও এত দিন ওজিল নীরব ছিলেন। রাশিয়া বিশ্বকাপ শেষে দেশে ফিরে মুখ খুলেছেন তিনি। ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে বিবৃতি দিয়ে জাতীয় দল থেকে অবসরের ঘোষণা দেন।
বিবৃতিতে ওজিল বলেছিলেন, ‘সাফল্য পেলে আমাদের জার্মান বলা হয় আর হারলে বলে অনুপ্রবেশকারী! এমন কথা আমাদের বহুবার শুনতে হয়েছে। জার্মান ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের মুখ থেকেও এমন কথা শুনতে হয়েছে আমাদের। এমন বর্ণবাদী আচরণের শিকার হতে হয়েছে আমাদের।’
জার্মানির হয়ে ওজিল ৯২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। এর মধ্যে ২০১০, ২০১৪ ও ২০১৮ বিশ্বকাপে খেলেন তিনি।